মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য দফায় দফায় মর্টারশেল ও ভারী গোলার বিস্ফোরণের বিকট শব্দে আবারও টেকনাফ-সেন্টমার্টিন সীমান্ত কাঁপছে। অপরদিকে সীমান্তে সর্বোচ্চ সর্তক অবস্থানে কোস্ট গার্ড ও বিজিবির সদস্যরা।
ঈদের দিন সহ আজ শুক্রবার (১২ এপ্রিল) দুপুর পর্যন্ত এ শব্দে ভেসে আসতেছে। এখনো চলমান রয়েছে। আতঙ্কিত সীমান্তের বসবাসকারীরা।
এ কারণে সাগরে মাছ ধরা ও নৌপথ দিয়ে সেন্টমার্টিন থেকে টেকনাফে আসা-যাওয়া করা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছেন বলে স্থানীয়রা জানান।
এর পাঁচদিন আগেও সেন্টমার্টিন, টেকনাফ, সাবরাং, শাহপরীর দ্বীপ, হ্নীলা ও হোয়াইক্যং ইউনিয়ন সীমান্তে রাখাইনের বিস্ফোরণের বিকট শব্দে আতঙ্ক দেখা দেয়।
সেন্টমার্টিন দ্বীপের বাসিন্দা খুরশেদ আলম বলেন, ঈদের নামাজ পড়ে বাড়িতে এসে একটু যখন বিশ্রাম নিচ্ছিলাম, তখন মিয়ানমার ওপার থেকে যেহারে মর্টারশেলের বিস্ফোরণ শব্দে এপারে আসতেছে। বাড়ি-ঘর কেঁপে উঠে।
গতকাল সারাদিন থেমে থেমে বিকট শব্দে শোনা গেলেও ওইদিন বিকাল থেকে, মধ্যরাত থেকে আজ শুক্রবার এখনো পর্যন্ত থেমে থেমে মর্টারশেল ও ভারী গোলার বিস্ফোরণের শব্দে কাঁপছে এপারের সীমান্ত।
টেকনাফ পৌরসভার বাসিন্দা রহিম উল্লাহ বলেন, মনে হচ্ছে মিয়ানমারের রাখাইনে আরাকান আর্মি ও আরো একটি বিদ্রোহী গ্রুপসহ এ দু’গ্রুপের সঙ্গে দেশটির সেনা বাহিনীর মধ্যেই তীব্র সংঘর্ষ হচ্ছে। কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ্য করেন, দিনের পর দিন এপারের সীমান্তে বিস্ফোরণের শব্দ আগের তুলনায় এখন বেশি শোনা যাচ্ছে। ঈদের দিন ও মধ্যরাতসহ এখনো পর্যন্ত থেমে থেমে ওপার থেকে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ টেকনাফ সীমান্তে ভেসে আসতেছে।
সীমান্তের এমন পরিস্থিতির মধ্যেই সাগরে জেলেরা মাছ ধরতে বা নৌপথে শাহপরীর দ্বীপ ও টেকনাফে আসা-যাওয়া করতে অসুবিধায় পড়ছেন দ্বীপ বাসি।
টেকনাফের উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, নাফনদীর ওপাশ থেকে গোলাগুলির শব্দ ভেসে আসছে। আর আমাদের সীমান্তে বিজিবি ও কোস্টগার্ড সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। এছাড়া কোনো রোহিঙ্গা যাতে অনুপ্রবেশ করতে না পারে, সেজন্য আমাদের সীমান্তরক্ষী বাহিনীগুলো সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।