জয় বাংলাদেশ : যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক দলের প্রার্থী ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কামলা হ্যারিস এক নির্বাচনি প্রচারে স্কুলে বন্দুক সহিংসতা বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানোর পরও নিজ বাড়িতে কোনও অনুপ্রবেশকারীকে ঠেকাতে বন্দুক ব্যবহারের ইচ্ছার কথা বলে সবাইকে চমকে দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার মিশিগানে মার্কিন গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, অভিনেত্রী ও সঞ্চালক অপরাহ উইনফ্রের সঞ্চালনায় একটি লাইভ ভার্চ্যুয়াল নির্বাচনি প্রচার অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে হ্যারিস বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলার সময় বন্দুক প্রসঙ্গ নিয়েও কথা বলেন।
উইনফ্রেকে তিনি বলেন, “কেউ আমার বাড়িতে ঢুকলে গুলি খাবে।” উইনফ্রের সঙ্গে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় বন্দুক আইন প্রসঙ্গে কথা চলাকালেই লাইভ স্টুডিও দর্শকশ্রোতাদের সামনে অসাবধানতাবশত এমন কথা বলে ফেলেন হ্যারিস।
তারপরই একগাল হাসি দিয়ে কথা শুধরে নিয়ে হ্যারিস বলেন, “আমার সম্ভবত এরকম কথা বলা উচিত হয়নি। বলতে হত, আমার কর্মীরা পরে অনুপ্রবেশকারীকে মোকাবেলা করবে।”
বন্দুকের মালিকানা থাকার যে অধিকার যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানে আছে সেটি সমর্থন করেন বলে জানান হ্যারিস। তবে আমেরিকায় স্কুলে নির্বিচার গুলির একাধিক ঘটনার বিবেচনায় তিনি অ্যাসাল্ট অস্ত্রের ওপর নিষেধাজ্ঞার পক্ষে এবং কঠোর বন্দুক আইন চান বলেও জানান।
উইনফ্রেকে হ্যারিস বলেন, “ওই ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র আসলে যুদ্ধের একটি হাতিয়ার। নাগরিক সমাজের রাস্তায় রাস্তায় এর কোনও স্থান নেই।”
হ্যারিস জানান তিনি মার্কিন সিনেটর থাকাকালে ২০১৯ সালে বন্দুক রেখেছিলেন নিজের নিরাপত্তা জন্য। তার ক্যালিফোর্নিয়ার বাড়িতে সেটি একটি নিরাপদ জায়গায় আছে।
তবে হ্যারিসের বন্দুক রাখার বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রে উইনফ্রেসহ অনেকেরই মনোযোগ কেড়েছে। বিশেষ করে গত সপ্তাহে প্রতিপক্ষ ট্রাম্পের সঙ্গে নির্বাচনি বিতর্ককালে তিনি বিষয়টি উল্লেখ করার পর। এর মধ্য দিয়ে এবছরের নির্বাচনি বিতর্কে প্রথম উঠে এসেছে বন্দুক প্রসঙ্গ।
তবে বৃহস্পতিবার স্টুডিওতে লাইভ নির্বাচনি প্রচার অনুষ্ঠানে হ্যারিস কেবল বন্দুকই নয়, গর্ভপাত থেকে অর্থনীতি এবং অভিবাসন পর্যন্ত বহু বিষয় নিয়েই কথা বলেছেন।
অনুষ্ঠানে যেন হলিউড তারকাদের মেলা বসেছিল। সেখানে যোগ দিয়েছিলেন জেনিফার লোপেজ, মেরিল স্ট্রিপ, ক্রিস রক, বেন স্টিলার ও জুলিয়া রবার্টসের মতো খ্যাতনামা সব হলিউড তারকা। প্রায় ৩ লাখ মানুষ এ অনুষ্ঠান দেখেছে।