জয় বাংলাদেশ :যুক্তরাষ্ট্রে নিয়মিত নিবন্ধিত ভোটার সংখ্যা বেড়েছে এবং ভোটাররাও আগের চেয়ে তাদের ভোটাধিকার নিয়ে আরও বেশি সচেতন হয়েছেন। তবে উদ্বেগজনকভাবে কমেছে আমেরিকায় ভোটকেন্দ্রগুলোর সংখ্যা।
গত এক দশকে যুক্তরাষ্ট্রে ২০ শতাংশ ভোটকেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেছে। নিবন্ধিত ভোটারের সংখ্যা বাড়লেও দ্রুতই ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা কমার বিষয়টি বিভিন্ন মহলে উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে। আসন্ন নির্বাচনে রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে লড়াইয়ের তুমুল উত্তেজনার মধ্যেই কেন্দ্রের সংখ্যা কমে যাওয়ায় ভোটারদের সমস্যায় পড়তে হতে পারে বলে মনে করছেন নির্বাচন বিশ্লেষকরা।
নিজেদের বাসস্থানের কাছে অবস্থিত অনেক ভোটকেন্দ্র কমে যাওয়ায় ভোট দিতে গিয়ে সমস্যা ও হয়রানির আশংকা করছেন অনেকে। তাদের অনেকে আরও ধারণা করছেন কৃষ্ণাঙ্গ ভোটারদেরকে বঞ্চিত করতেই এমনটি করা হচ্ছে।
অনেকেই যে ভোটকেন্দ্রগুলোতে আগে ভোট দিতে যেতেন সেগুলো থেকে অনেক দূরে এখন তাদেরকে ভোট দিতে যেতে হবে। জর্জিয়ার এমন একজন ভোটার জানিয়েছেন তার কাউন্টিতে ৬ টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে বর্তমানে চালু আছে কেবল একটি। এখন তাকে ভোট দিতে হলে নিজ বাড়ি থেকে ১২ মাইল দূরের একটি ভোটকেন্দ্রে গাড়ি চালিয়ে যেতে হবে।
আমেরিকা জুড়ে গত এক দশকে ২৭ হাজার ভোটকেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেছে। বিশ্লেষকদের মতে এর কারণ কৃষ্ণাঙ্গদেরকে বঞ্চিত করা নয়। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এর প্রভাব কিছুটা হলেও তাদের ওপর পড়েছে।
নিম্ন আয়ের কৃষ্ণাঙ্গরা ভোট দিতে গিয়ে সমস্যার মুখে পড়ছেন। তবে এর মধ্যেও তাদের অনেকে নিজ দায়িত্বে দূর-দূরান্তে অবস্থিত ভোটকেন্দ্রগুলোতে নিজ কমিউনিটির লোকদেরকে পৌঁছে দিচ্ছেন।
ভোটকেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাওয়ার এই ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটেছে অ্যামেরিকার দক্ষিণাঞ্চলীয় স্টেইটগুলোতে। ২০১৩ সালে ইউএস সুপ্রিম কোর্ট ভোটিং রাইটস অ্যাক্ট এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ বাতিল করে দেয়। এর ফলে কোন ভোটকেন্দ্র বন্ধ করে দিতে আর ফেডারেল অনুমোদনের প্রয়োজন হচ্ছে না কাউন্টিগুলোর। এটি ভোটকেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে অনেক বড় ভূমিকা রেখেছে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের।