বাগদাদে মার্কিন বিমান হামলায় ইরান-সমর্থিত এক মিলিশিয়া নেতা নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার মার্কিন কর্মকর্তারা হামলার কথা নিশ্চিত করেছেন। ওই নেতা ইরাকে মার্কিন সেনাদের ওপর হামলা চালিয়েছিলেন। তারই প্রতিশোধ নিতে বিমান হামলায় চালিয়েছে মার্কিন সেনারা।
ইরাকি পুলিশ সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, একটি ড্রোন পূর্ব বাগদাদে ইরাকি মিলিশিয়া গ্রুপ আল-নুজাবা’র ব্যবহৃত একটি স্থাপনায় অন্তত দুটি রকেট ছুড়েছে। পুলিশ ও মিলিশিয়া সূত্র জানায়, রকেটগুলো নুজাবা সদর দপ্তরের ভেতরে একটি গাড়িতে আঘাত করে এবং স্থানীয় গ্রুপ কমান্ডার ও তার এক সহযোগীসহ চারজন নিহত হয়। স্বাস্থ্য সূত্র মৃতের সংখ্যা নিশ্চিত করেছে।
অক্টোবরে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে মার্কিন সামরিক বাহিনী ইরাক ও সিরিয়ায় কমপক্ষে ১০০ বার আক্রমণের শিকার হয়েছে। হামলাগুলো সাধারণত রকেট ও একমুখী আক্রমণকারী ড্রোন দিয়ে করা হতো। ইসলামিক স্টেট জঙ্গিদের পুনরুত্থান ঠেকাতে ইরাকে আড়াই হাজার ও প্রতিবেশী সিরিয়ায় ৯০০ মার্কিন সেনা মোতায়েন রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর সামরিক মুখপাত্র বৃহস্পতিবারের হামলার কথা উল্লেখ করে বলেছেন, ‘ইরাকি সশস্ত্র বাহিনী একটি ইরাকি নিরাপত্তা সত্তার ওপর এই অযৌক্তিক হামলার জন্য আন্তর্জাতিক জোট বাহিনীকে দায়ী করছে।’
বিবৃতিতে মিলিশিয়া গ্রুপটিকে প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানির অনুমোদন নিয়ে কাজ করা একটি ইরাকি বাহিনী হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, মিলিশিয়া নেতাকে হত্যার উদ্দেশ্য নিয়ে গাড়িটিকে আঘাত করা হয়েছিল এবং তা সম্পন্ন হয়েছে।
মিলিশিয়া সমর্থক ওয়েবসাইটগুলোর প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজে আগুনে ধ্বংসপ্রাপ্ত একটি গাড়ি দেখা যাচ্ছে। রয়টার্স স্বাধীনভাবে ফুটেজের সত্যতা যাচাই করতে পারেনি।