কিরগিজস্তানের বিশকেকে বিদেশি শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে হামলার ঘটনা চলছে। এতে চরম আতঙ্কে সময় পার করছেন বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানসহ দেশটিতে থাকা বিদেশি শিক্ষার্থীরা।
ইতোমধ্যে ভারতীয় দূতাবাস দেশটিতে থাকা তাদের নাগরিকদের ঘরের ভিতরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে। পাকিস্তানও তাদের নাগরিকদের একই পরামর্শ দিয়েছে। দেশটিতে নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত হাসান জাইঘাম কিরগিজ উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইমানগাজিভ আলমাজের সঙ্গে দেখা করেছেন। তিনি দেশটিতে থাকা পাকিস্তানি নাগরিকদের নিরাপত্তার বিষয়টি তুলে ধরেছেন।
দেশটির স্থানীয় মিডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, একটি হোস্টেলে গত ১৩ মে বিদেশি শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। মিসর থেকে আসা মেডিকেল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কিরগিজ শিক্ষার্থীদের মারামারির ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরেই পরিস্থিতি উত্তাল হয়।
এ নিয়ে পরবর্তীটে দেশটির বহু সংখ্যক বিক্ষোভকারী জড়ো হয়। এর মধ্যে অনেকে রাস্তা দখল করে এবং ভবনে ভাঙচুর চালিয়েছে। দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে। সেইসঙ্গে মোতায়েন করা হয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, বিক্ষোভকারী বিভিন্ন দরজার ভেঙে ফেলছেন এবং বিদেশি শিক্ষার্থীদের পেটাচ্ছে।
ফার্স্ট পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৭-১৮ মে রাতে বিশকেক উত্তাল ছিল। বিক্ষোভকারীরা বিদেশি শিক্ষার্থী ও অভিবাসীদের লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনায় অন্তত ২৮ জন আহত হয়েছে, যার মধ্যে তিনজন বিদেশি শিক্ষার্থী আছেন।
দেশটিতে থাকা বাংলাদেশি শিক্ষার্থীও চরম আতঙ্কে আছেন বলে জানিয়েছেন। দেশটিতে অধ্যরনরত সায়মা কবি সংবাদসংস্থা ইউএনবিকে বলেন, আমরা পাঁচজন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী এই মুহূর্তে একটি অ্যাপার্টমেন্টে আছি। কিছু লোক আমাদের অ্যাপার্টমেন্টের সামনে জড়ো হয়েছে। প্লিজ আমাদের সাহায্য করুন।
তবে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিশকেকের পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে।
বিদেশি শিক্ষার্থীদের পড়াশুনার জন্য পছন্দের অন্যতম একটি দেশ হচ্ছে কিরগিস্তান। বিশেষ করে মেডিকেলের জন্য বিদেশি শিক্ষার্থীদের পছন্দের দেশ এটি।