আগামী নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, সবার মনে রাখতে হবে এ নির্বাচনটা বাংলাদেশের জন্য জরুরি। কারণ, বাংলাদেশকে নিয়ে অনেকেই অনেক রকম খেলা খেলতে চায়। এদেশের ভাগ্য নিয়ে যাতে কেউ ছিনিমিনি খেলতে না পারে, সেদিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবন থেকে ৫ জেলা ও একটি উপজেলার নির্বাচনী জনসভায় ভার্চুয়ালি বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আগামী জাতীয় নির্বাচন যাতে ইতিহাসের মাইলফলক হয়ে থাকে, আমাদের সেই চেষ্টাই করতে হবে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমার ভোট আমি দেব যাকে খুশি তাকে দেব। এটা আমাদের স্লোগান, এই স্লোগান দিয়েই আমরা গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছিলাম। বিএনপি ক্ষমতায় এসেই লুটপাট ও দুর্নীতি শুরু করে। বিএনপির দুর্বৃত্তায়নের জবাব দিতে হবে ভোটের মাধ্যমে। ভোটে কোনো সংঘাত চাই না শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে হবে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, বিএনপি এমন একটা রাজনৈতিক দল যাদের কাজ হচ্ছে ষড়যন্ত্র করা, ভোট বানচাল করা। তাদের জন্মই হয়েছে গণতন্ত্রকে হত্যা করার মধ্য দিয়ে। তাদের সঙ্গে আছে জামায়াত। জামায়াত-বিএনপি ২০১৩ সালে বাংলাদেশে আগুনসন্ত্রাস শুরু করে।
২০০৯ সাল থেকে বারবার আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করায় বাংলাদেশের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন বানচাল করতে চায়। তারা না আসলেও নির্বাচন প্রতিযোগিতামূলক হবে। আমরা নৌকা দিয়েছি পাশাপাশি দলের যে কেউ নির্বাচনে যাতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারে সেটা উন্মুক্ত করে দিয়েছি।
আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের জনগণের কাছে যাওয়ার উপদেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা জনগণের কাছে গিয়ে আওয়ামী লীগের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরবেন। জনগণ যাকে পছন্দ করবেন তাকেই ভোট দিবেন। নির্বাচন হতে হবে শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর।