সংযুক্ত আরব আমিরাতের আকর্ষণীয় পর্যটন শহর দুবাই যেখানে সুউচ্চ স্থাপত্য আর মরুভূমির রুক্ষতা আর শহুরে জীবনের বিলাসী চিত্র সহজেই চোখে পড়বে। বিভিন্ন দেশের ভ্রমণপ্রেমীদের কাছে স্বপ্নের শহর।
পর্যটন সূত্র থেকে জানা গিয়েছে যে এই মাসে(সেপ্টেম্বর) বা আগামী মাসের প্রথম দিকে বাংলাদেশী পর্যটকদের জন্য খুলে দেয়া হবে দুবাই। স্বল্প খরচেই ঘুরে আসা সম্ভব স্বর্ণের দেশ দুবাইতে। তবে খরচের বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আপনার থাকতে হবে পূর্ব পরিকল্পনা।দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর শহর থেকে সাত কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। আপনি বাস, পাতাল রেল বা ট্যাক্সি করে শহরে যেতে পারেন।
দুবাইতে ভ্রমণের ক্ষেত্রে অবশ্যই আগে হোটেল বুকিং করে নিতে পারেন।স্বর্ণের জন্য বিখ্যাত যেখানে কম দামে স্বর্ণ কিনতে পাওয়া যাবে ।
দুবাই সমুদ্রের জন্য বিখ্যাত। ইয়েলো বোট রাইডস এ ভ্রমণে দেখা যাবে পাম দ্বীপ, বুর্জ আল আরব, দুবাই মেরিনা ও পাম লেগুন। এ ভ্রমণও অনলাইনে করে রাখা যায়।
দুবাই ভ্রমণে গেলে বুর্জ খলিফাতে ভ্রমণ করবেন। বুর্জ খলিফায় ভ্রমণের আগেই আপনার সেজন্য আবেদন করতে হবে এবং একটি ‘টাইম স্লট’ নিয়ে নিতে হবে। আর বুকিংয়ের সময় সূর্যোদয়ের সময়টি নিতে পারলে সবচেয়ে মনোমুগ্ধকর দৃশ্য দেখতে পাবেন।
দুবাই বেড়াতে গেলে মরুভূমিতে সাফারি ভ্রমণ করতে ভুলবেন না। বেশির ভাগ সাফারি ভ্রমণেই থাকে বালিয়াড়ি ভ্রমণ, বেলি ড্যান্স, শিশা, তনুরা ড্যান্স, কোয়াড বাইক ভ্রমণ এবং খাবার। তবে মূল পার্থক্য থাকে তারা আপনাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে এবং কি খাওয়াচ্ছে তার ওপর।
দুবাই শহর থেকে এক ঘণ্টার ড্রাইভিংয়ে যেতে পারেন অ্যাডভেঞ্চার ওয়ার্ল্ড। সেখানে রয়েছে ফরমুলা রোসা নামে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগামি রোলার কোস্টার। সব বয়সীদের জন্যই সেখানে নানা অ্যাডভেঞ্চার রাইড রয়েছে। অনলাইনে বুকিং দিয়ে যেতে পারেন।
এছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নিজস্ব পরিবেশে কেনাকাটার জন্য সেখানে রয়েছে গ্লোবাল ভিলেজ। এখানে বিভিন্ন পরিবেশে রয়েছে ৩০টি প্যাভিলিয়ন। এসব প্যাভিলিয়নে গেলে বিভিন্ন দেশের পরিবেশ ও সংস্কৃতির পরিচয় পাওয়া যাবে।
গাড়িপ্রেমীদের জন্য একটি তীর্থস্থান বলা যেতে পারে এ এই চাকচিক্যময় শহর। মূল্যবান ফেরারি, স্বর্ণের রেঞ্জ রোভার, রোলস রয়েস ও নানা এ ধরনের গাড়ি রয়েছে। এ গাড়িগুলো ছাড়াও রয়েছে প্রাইভেট বিলাসবহুল ইয়ট।