জয় বাংলাদেশ: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় আধিপত্য জেরে দু’গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মতিন তোতা (৬৫) মারা গেছেন। তিনি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির যুগ্ম-আহবায়কের দায়িত্বে ছিলেন।
শুক্রবার (৩০ আগস্ট) বিকাল ৩টায় রাজধানীর ধানমন্ডির পপুলার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এর আগে, গত ২৭ আগস্ট রাতে উপজেলার চরএলাহী ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপির দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় বিএনপি নেতা আবদুল মতিন তোতা গুরুতর আহত হয়েছিলেন। আহত অবস্থায় তাকে নোয়াখালী থেকে ধানমন্ডির পপুলার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
বিএনপি নেতা আবদুল মতিন তোতার মৃত্যুর পর তার ছেলে মো. বাহাদুর ফেসবুকে লাইভে এসে প্রশাসন এবং জনসাধারণের উদ্দেশ্যে বলেন, আমার বাবা বিএনপির নেতা সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মতিন তোতা সম্পূর্ণ নির্দোষ। পরিকল্পিতভাবে বিএনপি নেতা ইসমাইল, মোস্তাফিজ, শাহাব উদ্দিন মামুন, ডা. ফরিদসহ আওয়ামী লীগের রেজ্জাক চেয়ারম্যান, যুবলীগ নেতা কালাম ও বেলালের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় তাকে হত্যা করা হয়েছে। এরা সবাই আমার বাবার মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে এলাকা থেকে পালিয়ে যাচ্ছে। তাদেরকে আটক করে প্রশাসনের হাতে সোপর্দ করুন।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহবায়ক নুরুল আলম শিকদার নিজ দলের নেতা তোতার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে বলেন, সন্ত্রাসী হামলায় তার মৃত্যুতে নিন্দা জানাচ্ছি। সঙ্গে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।
এছাড়াও বিএনপি নেতা আবদুল মতিন তোতার মৃত্যুতে বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক এমপি আলহাজ্ব মোহাম্মদ শাহজাহান, কেন্দ্রীয় সহ-পল্লী উন্নয়ন সম্পাদক বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ, নোয়াখালী জেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম হায়দার, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আবদুর রহমান, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির অন্যতম সদস্য ফখরুল ইসলাম গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি প্রণব চৌধুরী জানান, বিএনপি নেতা আবদুল মতিন তোতার মৃত্যুর সংবাদ পেয়েছি। তবে এ ঘটনায় এখনও কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।