Tuesday, November 19, 2024
Google search engine
Homeস্বদেশ সংবাদগণতন্ত্র ধ্বংসের জন্য ইসি দায়ী: রিজভী

গণতন্ত্র ধ্বংসের জন্য ইসি দায়ী: রিজভী

জয় বাংলাদেশ: দেশে গণতন্ত্র ধ্বংসের জন্য দায়ীদের মধ্যে নির্বাচন কমিশন (ইসি) অন্যতম বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, সাংবিধানিক ব্যবস্থা লঙ্ঘনের জন্য যারা দায়ী, তাদের বিচারের দাবি জানাচ্ছি। তাদের আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো উচিত।

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন রিজভী। সেখানে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, দখল ও ডাকাতির নির্বাচনে আপনি এককভাবে ফলাফল ঘোষণা করেছেন। আপনি কেন পদত্যাগ করেনি? আপনারা কাছে চাকরিটাই বড় ছিল। দেশ ও রাষ্ট্রের কথা কি মনে ছিল না? আমাদের দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করার জন্য যেগুলো প্রতিষ্ঠান দায়ী, তার মধ্যে অন্যতম নির্বাচন কমিশন।

তিনি বলেন, পৃথিবী কাঁপানো শিশু-কিশোরদের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এক ভয়াবহ দানবের পতন হয়েছে। এ আন্দোলন ধারাবাহিকভাবে চালিয়ে আসছে বিএনপি, ২০ দলীয় জোট ও সমমনা জোটগুলো। ৫ আগস্টের একটি পটভূমির মধ্য দিয়ে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতন হয়েছে। তাই স্বৈরাচারের দোসরদের সঙ্গে আঁতাত করা মানে শহীদের রক্তের সাথে সম্পূর্ণভাবে বেইমানি করা।

তিনি আরও বলেন, একটি রাজনৈতিক দলের অতীতে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করা রেকর্ড আছে, সেই দলের নেতারা ক্ষমা করার কথা বলছেন। গণহত্যাকারীদের কিসের ক্ষমা? গণহত্যাকারীদের ও গণহত্যায় জড়িত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ জড়িতদের অবশ্যই বিচার করতে হবে।

সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির এ শীর্ষ নেতা বলেন, এক সময় শুধুমাত্র চারটি পত্রিকা রেখে আওয়ামী লীগ বাকশাল কায়েম করেছিল। এবার ভিন্নরূপে বাকশাল কায়েম করেছিল আওয়ামী লীগ। পত্রিকা বন্ধ করেনি। কিন্তু মালিকানা দিয়েছে তাদের একনিষ্ঠদের। তারা সারাক্ষণ আওয়ামী লীগের প্রচারমাধ্যম হিসেবে কাজ করছে।

গণমাধ্যমের মূল কাজ সত্য উদঘাটন করে সঠিক খবর পরিবেশন উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটাই গণতন্ত্র। এর বাহিরে গেলে সেটা গণমাধ্যম নয়, প্রচারমাধ্যম বা স্বৈরাচারের ডাণ্ডা। প্রকৃত গণতান্ত্রিক দেশে স্থিতিশীল বজায় রাখতে ভূমিকা রাখে গণমাধ্যম। রাষ্ট্রীয় গণতন্ত্রকে বিকাশ করতে হলে একমাত্র উপাদান হচ্ছে স্বাধীন গণমাধ্যম। আবার সেই গণমাধ্যমকে অবশ্যই সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে অ্যাবের নেতা কৃষিবিদ রাশিদুল হাসান হারুন, কৃষিবিদ শফিউল আলম দিদার, কৃষিবিদ ড. শফিকুল ইসলাম, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, কৃষিবিদ নুরুন্নবী ভূইয়া শ্যামল, কৃষিবিদ আনিসুর রহমান আনিস, কৃষিবিদ ড. আকিকুল ইসলাম আকিক, কৃষিবিদ ফেরদৌস হাওলাদার, কৃষিবিদ কেএম সানোয়ার আলম, কৃষিবিদ শাহাদাত হোসেন পারভেজ প্রমুখ ছিলেন।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

নতুন সংবাদ

Recent Comments