গাজায় খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা অবস্থায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর ড্রোন হামলায় ৭ মানবাধিকার কর্মী নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় শুক্রবার দুই সামরিক কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছে ইসরায়েল। খবর এপির।
এছাড়াও ড্রোন হামলায় জড়িত থাকায় আরও তিনজনকে তিরস্কার করেছে। একজন অবসরপ্রাপ্ত আর্মি জেনারেলের অধীনে ঘটনার তদন্তের পর সামরিক কর্মকর্তাদের বরখাস্ত করা হয়।
এই ঘটনায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বাদেও চাপের সম্মুখীন হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রসহ ইসরায়েলের অন্য মিত্র দেশগুলো। গাজায় অবস্থিত বেসামরিক ব্যক্তি ও মানবাধিকার কর্মীদের নিরাপত্তা দিতে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে আন্তর্জাতিক মহলে।
অন্যদিকে ইসরায়েলের যুদ্ধ পরিকল্পনা ও নীতিগত দিক নিয়েও চলছে সমালোচনা। দেশটির সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি সাংবাদিকদের বলেন, এই ঘটনাটির জন্য আমরাই দায়ী। এটা একটা ট্র্যাজেডি। আমরা নিশ্চিত করব এই ঘটনার আর পুনরাবৃত্তি হবে না।
গাজায় কাজ করা মানবাধিকার কর্মীরা দীর্ঘদিন ধরেই অসহযোগিতামূলক ও অনিরাপদ পরিস্থিতিতে কাজ করে আসছেন বলে অভিযোগ করে আসছিল। তবে এই অভিযোগ এতদিন অস্বীকার করেছিল ইসরায়েল।
এ ঘটনার পর ফিলিস্তিনিদের জন্য গাজায় বেশ কিছু বর্ডার ক্রসিং উন্মুক্ত করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। তবে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, গাজায় মানবাধিকার নিশ্চিত করার জন্য বাইডেন প্রশাসনের কাছে এই উদ্যোগ যথেষ্ট নয়।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক এনজিও অক্সফামের কর্মকর্তা স্কট পল বলেন, গাজায় ত্রাণ কর্মীদের হত্যা করার ঘটনাটি দুর্ঘটনা নয়, বরং পূর্বপরিকল্পিত।
জাতিসংঘের তথ্যমতে, এপর্যন্ত ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে ২২০ জন মানবাধিকার কর্মী নিহত হয়েছেন।