জয় বাংলাদেশ : ২০২০ সালের মার্চে মৃত্যুবরণ করেছিলেন এই আইনের অপর উদ্ভাবক টনি লুইস। তাকে সঙ্গে নিয়ে পরিসংখ্যানবিদ ডাকওয়ার্থ আবিষ্কার করেন ‘ডাকওয়ার্থ-লুইস’ পদ্ধতি। বৃষ্টিবিঘ্নিত ক্রিকেট ম্যাচের ফল বের করতে ডাকওয়ার্থ–লুইস পদ্ধতির অন্যতম উদ্ভাবক ফ্রাঙ্ক ডাকওয়ার্থ ৮৪ বছর বয়সে মারা গেছেন। ইংরেজ এই পরিসংখ্যানবিদ ও টনি লুইস এ পদ্ধতির আদি সংস্করণের উদ্ভাবক। ২০২০ সালের মার্চে মৃত্যুবরণ করেছিলেন এই আইনের অপর উদ্ভাবক টনি লুইস। তাকে সঙ্গে নিয়ে পরিসংখ্যানবিদ ডাকওয়ার্থ আবিষ্কার করেন ‘ডাকওয়ার্থ-লুইস’ পদ্ধতি। পরবর্তীতে বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচের ফল নির্ধারণে এই পদ্ধতিই হয়ে ওঠে আনুষ্ঠানিক। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথমবার এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় ১৯৯৭ সালে। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে লক্ষ্য পুনর্নির্ধারণে এ পদ্ধতিকে মানদণ্ড হিসেবে আইসিসি আনুষ্ঠানিকভাবে ব্যবহার শুরু করে ২০০১ সাল থেকে। ২০১৪ সালে এই পদ্ধতিতে ‘স্টার্ন’ শব্দটি জুড়ে ডাকওয়ার্থ–লুইস–স্টার্ন করা হয়। ডাকওয়ার্থ ও লুইস অবসর নেওয়ার পর এবং অস্ট্রেলিয়ান পরিসংখ্যানবিদ স্টিভেন স্টার্ন আগের ডিএল পদ্ধতিতে কিছু সংস্কার আনার পর নামটি পাল্টানো হয়। ১৯৯২ ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে সিডনিতে বৃষ্টি আইনের গ্যাঁড়াকলে পড়ে ইংল্যান্ডের কাছে হেরে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই আইন অনুযায়ী জয়ের জন্য শেষ বলে ২২ রান দরকার ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। বৃষ্টি আইনে ১৯ রানে জিতেছিল ইংল্যান্ড। হিসেবের গরমিলে ফাইনালে যাওয়া হয়নি প্রোটিয়াদের। এরপর থেকে এই নিয়ম নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। পরে সেই বৃষ্টি আইনের পরিবর্তে ডাকওয়ার্থ ও লুইস একসঙ্গে নিয়ে আসেন ডিএল মেথড।