গাজা যুদ্ধ বন্ধে চুক্তিতে যেতে আগ্রহ নন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি প্রায় সাত মাস ধরে চলা যুদ্ধে যুদ্ধবিরতির কোনো উদ্যোগ না নিয়ে বরং উস্কানি দিচ্ছেন বলে শুক্রবার অভিযোগ জানিয়েছেন হামাসের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা। সূত্র: এএফপি
হামাস নেতা হোসাম বদরান এএফপিকে বলেছেন, কায়রোতে বৈঠকে বসার আগে হামাস নেতারা তার মিত্র গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে অভ্যন্তরীণ আলোচনা করছিল।
তবে তিনি সতর্ক করে বলেছেন, নেতানিয়াহুর বারবার তার বিবৃতিতে জোর গলায় বলেছেন রাফায় অভিযান কেনোভাবেই থামাবেন না। তার মানে তিনি কোনো চুক্তিতে যেতে আগ্রহী নন।
টেলিফোন সাক্ষাত্কারে তিনি বলেন, ‘নেতানিয়াহু আগের সব আলোচনায় বাধা দিয়েছেন। এটাও স্পষ্ট যে তিনি এখনো সে প্রচেষ্টাই করছেন। তিনি কোনো চুক্তিতে যেতে আগ্রহী নন। তাই তিনি চলমান প্রচেষ্টা ঠেকাতে মিডিয়াতে এসব বিবৃতি দিচ্ছেন।’
মিসর, কাতার ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় একটি চুক্তি প্রক্রিয়াধীন ছিল। চুক্তির অধীনে ৪০ দিনের যুদ্ধবিরতি ও সম্ভাব্য হাজার হাজার ফিলিস্তিনি বন্দীর বিনিময়ে ইসরায়েলি জিম্মি মুক্তির বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকার কথা শোনা গিয়েছিল।
হামাস নেতা বদরান বলেছেন, হামাসের লক্ষ্য স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং গাজা উপত্যকা থেকে দখলদার বাহিনীকে সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করানো।
তবে নেতানিয়াহু তার বক্তব্যে হামাসের লক্ষ্যের পুরো বিপরীত অবস্থান নিয়েছেন। কারণ তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, রাফাসহ অন্য অঞ্চলে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী হামাসের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবে। রাফায় প্রায় ১৫ লাখ ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছে। এটি তাদের শেষ আশ্রয়স্থল।
কিন্তু কয়েক মাসের আলোচনার পর হামাসের কাতারভিত্তিক রাজনৈতিক ব্যুরোর প্রধান ইসমাইল হানিয়াহ বৃহস্পতিবার বলেছেন, একটি চুক্তির জন্য হামাস শিগগিরই তাদের প্রতিনিধিদল মিসরে পাঠাবে। চুক্তিতে ফিলিস্তিনি জনগণের দাবি তুলে ধরা হবে।
ইসরায়েলের নৃশংস অভিযানে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজার ৬০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।