জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি ও কুষ্টিয়া–২ আসনের ১৪-দলীয় জোট মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, ‘আমি জনগণের ভোটে নয়, কারচুপির ভোটে পরাজিত হয়েছি। আশা করি এটা সবাই তদন্ত করে দেখবেন এবং প্রতীকার করবেন।’
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলা জাসদের কার্যালয়ে ভোট পরবর্তী দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
সারাদেশে ভোট অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে মন্তব্য করে হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলো আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর মস্তান বাহিনী ভোটের সাত দিন আগে থেকে যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে, সেটা বন্ধ করা সম্ভব হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘ভোটের দিন ১৬১টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৮টি কেন্দ্রে অস্বাভাবিক ভোট প্রদান লক্ষ্য করা গেছে, যা কারচুপির মাধ্যমে করা হয়েছে। এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের নজরে আনার পরেও প্রশাসনের কর্মকর্তারা কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে।’
জোট প্রসঙ্গে জাসদ সভাপতি বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে জোটে কোনো রাজনৈতিক প্রভাব পড়বে না। তবে নির্বাচন নিয়ে জোটের শরিকদের মধ্যে যে বিভ্রান্তি ও বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে, সেটা অবশ্যই নিষ্পত্তি করতে হবে। একইসঙ্গে জোটের প্রার্থীর এলাকায় প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী স্বতন্ত্র প্রার্থীর গুন্ডাবাহিনীর যে আক্রমণ, হুমকি-ধমকি অত্যাচার শুরু হয়েছে, এটা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। তা না হলে জোটের অভ্যন্তরে সুষ্ঠু পরিবেশ থাকবে না।
এ সময় জেলা জাসদের সভাপতি গোলাম মহসিন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলিম স্বপন, মিরপুর উপজেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক আহম্মদ আলীসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
কুষ্টিয়া-২ আসনে ইনু পেয়েছেন ৯২ হাজার ৪৪৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল আরেফিন ট্রাক প্রতীকে ১ লাখ ১৫ হাজার ৭৯৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হন। কামরুল মিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান।