জয় বাংলাদেশ রিপোর্ট: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আর বাকি ১০০ দিনের মতো। তার আগে জনপ্রিয়তার দৌড়ে একে অপরকে সমানে টেক্কা দিচ্ছেন দুই প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কমলা হ্যারিস। জরিপ বলছে, দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্টের মধ্যে জনসমর্থনের রেটিংয়ে পার্থক্য খুবই সামান্য। কোথাও ট্রাম্প এগিয়ে, তো কোথাও হ্যারিস।
জনপ্রিয়তা জরিপে দেখা গেছে, গত ২৭ জুন প্রথম প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কে ট্রাম্পের কাছে নাস্তানাবুদ হওয়ার পর বাইডেনের যে অবস্থান ছিল, তা থেকে পাঁচ পয়েন্ট এগিয়ে গেছেন কমলা হ্যারিস।
নিউইয়র্ক টাইমস/সিয়েনার জরিপ বলছে, সম্ভাব্য ভোটারদের মধ্যে ৪৮ শতাংশ বলেছেন, তারা ট্রাম্পকে সমর্থন করবেন। আর ৪৭ শতাংশ বলেছেন, তারা কমলা হ্যারিসের পক্ষে।
নিবন্ধিত ভোটারদের ক্ষেত্রে কমলা হ্যারিসের চেয়ে দুই শতাংশ পয়েন্টে এগিয়ে রয়েছেন ট্রাম্প। এ ধরনের ৪৮ শতাংশ ভোটার রিপাবলিকান প্রার্থীর পক্ষে এবং ৪৬ শতাংশ ভোটার ডেমোক্র্যাট প্রার্থীর পক্ষে কথা বলেছেন।
গত ২২ থেকে ২৪ জুলাই ১ হাজার ১৪২ জনের সঙ্গে কথা বলে জরিপের এই ফলাফল পাওয়া গেছে।
গত রোববার (২১ জুলাই) জো বাইডেন নির্বাচনী প্রতিযোগিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর পর পরিচালিত দুটি জরিপ বলছে, জনসমর্থনে ট্রাম্পের চেয়ে কমলা হ্যারিসই এগিয়ে।
মর্নিং কনসাল্টের সাপ্তাহিক প্রেসিডেন্সিয়াল জরিপ অনুসারে, ৪৬ শতাংশ ভোটার হ্যারিসের পক্ষে ও ৪৫ শতাংশ ভোটার ট্রাম্পের পক্ষে সায় দিয়েছেন। ২২-২৪ জুলাই ১১ হাজার ২৯৭ জন নিবন্ধিত ভোটারের ওপর এই জরিপ পরিচালিত হয়েছিল।
আবার, গত ২২ ও ২৩ জুলাই রয়টার্স/ইপসসের জরিপে দেখা গেছে, ৪৪ শতাংশ জনসমর্থন নিয়ে ট্রাম্পের চেয়ে দুই শতাংশ পয়েন্টে এগিয়ে রয়েছেন হ্যারিস। এই জরিপে ৭৮ বছর বয়সী সাবেক প্রেসিডেন্টের পক্ষে সায় দিয়েছেন ৪২ শতাংশ ভোটার।
অবশ্য অন্য চারটি জরিপ বলছে, বর্তমান জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে পারলে আগামী নির্বাচনে ট্রাম্পই জিতবেন।
গত ২২-২৩ জুলাই সিএনএন/এসএসআরএস পরিচালিত জরিপে দেখা গেছে, ভোটারদের ৪৯ শতাংশ ট্রাম্পের পক্ষে এবং ৪৬ শতাংশ হ্যারিসের পক্ষে।
মর্নিং কনসাল্টের আরেকটি জরিপে ট্রাম্পকে দুই শতাংশ পয়েন্টে (৪৭ শতাংশ-৪৫ শতাংশ) এবং এনপিআর/পিবিএস/মারিস্টের জরিপে তাকে এক শতাংশ (৪৬ শতাংশ-৪৫ শতাংশ) পয়েন্টে এগিয়ে থাকতে দেখা গেছে।
ইকোনমিস্ট/ইউগভ পরিচালিত জরিপে আবার রিপাবলিকান প্রার্থীকে তিন শতাংশ পয়েন্টে এগিয়ে রাখা হয়েছে। এতে দেখা গেছে ট্রাম্প ৪৪ শতাংশ ও কমলা হ্যারিস ৪১ শতাংশ ভোটারের সমর্থন পাচ্ছেন।