প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের আর্কিটেক্টদের একটা খামখেয়ালিপনা আছে, পুকুর দেখলেই দালান করার প্রবণতা আছে তাদের। এই ঢাকা শহর পুকুর-খালে ভরপুর ছিল। বেশিরভাগ খাল বন্ধ, নয় বন্ধ করে দালান-কোঠা করা হয়েছে। পুকুরগুলো বন্ধ। খালগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। দয়া করে যেখানেই পরিকল্পনা নেন, জলাধার সংরক্ষণ করবেন। জলাধার সংরক্ষণ করলে বাতাসও পরিচ্ছন্ন থাকে, এত গরম হয় না। সেদিকে বিশেষভাবে সবাইকে নজর দিতে হবে। জায়গা পেলেই যেখানে সেখানে পরিকল্পনা ছাড়া নির্মাণ কাজ করা যাবে না।
শনিবার (২৫ মে) সকালে বঙ্গবাজার পাইকারি মার্কেট, শাহবাগে হোসেন শহিদ সোহরাওয়ার্দী শিশু উদ্যানের আধুনিকায়নসহ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের চারটি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, যখন পার্কগুলো করা হয় খুব সুন্দর থাকে। কিছুদিন পর দেখা যায়, পার্কে বাচ্চাদের খেলার জিনিস নষ্ট, ময়লা আবর্জনা, আড্ডাখানা অথবা মাদক সেবনের জায়গা হয়ে যায়। এখানে আমাদের ওয়ার্ড কমিশনার, সিটি করপোরেশন ও স্থানীয় লোক সবাই আছেন। আপনারা আপনাদের যার যার এলাকা, অবশ্যই আপনাদের দেখতে হবে। পার্কগুলো যেন যথেচ্ছ ব্যবহার না হয়, মাদক সেবনের জায়গা না হয়।
যার যার ওয়ার্ডের সৌন্দর্যবর্ধন ও পরিচ্ছন্নতা প্রত্যেকের দায়িত্ব উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মনে রাখতে হবে, জনগণ ভোট দিয়ে আপনাদের নির্বাচিত করেছে। এই কাজগুলো করার দায়িত্ব আপনাদেরই। সেক্ষেত্রে সরকার ও সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তা আপনারা পাবেন।
ঢাকা সিটির পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের ফ্ল্যাট বানিয়ে দেওয়া হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের সম্মানজনক পদবীর ব্যবস্থা করে দিয়েছি। শুধু বড়লোকরা ফ্ল্যাটে থাকবে, তা কিন্তু হবে না। রিকশাওয়ালা থেকে শুরু করে দিনমজুর সবার জন্য ফ্ল্যাটের ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। যে বস্তিতে যে ভাড়ায় থাকে, সেরকমই ভাড়া দেবে। স্বল্প ভাড়ায় ফ্ল্যাট দিচ্ছি। কেউ সপ্তাহে এবং মাসে ভাড়া দিতে পারবে। বস্তি বা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে কেউ থাকবে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একদিন যে জায়গাটা আগুনে পুড়ে অনেক মানুষ নিঃস্ব হয়ে গিয়েছিল, আজকে তাদর পুনর্বাসনের জন্য আমরা পদক্ষেপ নিচ্ছি।