জয় বাংলাদেশ: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও দলটির ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির নিষিদ্ধ করেছে সরকার। নিষিদ্ধের পরে যে কোনো ধরনের সন্ত্রাস-নাশকতা মোকাবিলা করতে প্রস্তুত ঢাকা মহানগর (ডিএমপি) পুলিশ। যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ঢাকার বিভিন্ন মোড়ে নিরাপত্তা বাড়িয়েছে পুলিশ। টহল ও চেকপোস্ট জোরদার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) বিকেলে এ তথ্য জানান ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, যে কোনো ধরনের সন্ত্রাস-নাশকতা মোকাবিলা করতে প্রস্তুত ডিএমপি। ঢাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় পুলিশ নিরাপত্তা জোরদার করেছে।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিভিন্ন মোড়ে নিরাপত্তা বাড়িয়েছে পুলিশ। টহল ও চেকপোস্ট জোরদার করা হয়েছে।
এদিকে, নির্বাহী আদেশে জামায়াতে ইসলামী ও দলটির ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরকে নিষিদ্ধ করেছে সরকার। স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী দলটিকে নিষিদ্ধ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। পরে প্রজ্ঞাপনটি গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়।
গেজেটে বলা হয়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া কয়েকটি মামলার রায়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী (পূর্বনাম জামায়াত-ই-ইসলামী/জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ) এবং এর অঙ্গ সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির (পূর্বনাম ইসলামী ছাত্রসংঘ)-কে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালে সংঘটিত গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতা বিরোধী অপরাধে দায়ী হিসাবে গণ্য করা হয়েছে।
এছাড়া হাইকোর্ট বিভাগের একটি রিট পিটিশনের রায়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন দলটির নিবন্ধন বাতিল করে দিয়েছে। আপিল বিভাগ, হাইকোর্ট বিভাগের ওই রায়কে বহাল রেখেছেন বলে গেজেটে উল্লেখ করা হয়।
আরও বলা হয়, সরকারের কাছে যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ রয়েছে যে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং এর অঙ্গ সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সাম্প্রতিককালে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞ, ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সরাসরি এবং উসকানির মাধ্যমে জড়িত ছিল। সরকার বিশ্বাস করে যে, জামায়াত ও শিবিরসহ এর সব অঙ্গ সংগঠন সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত রয়েছে।
তাই ‘সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯’ এর ধারা ১৮(১) এ দেওয়া ক্ষমতাবলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ এর সব অঙ্গ সংগঠনকে রাজনৈতিক দল ও সংগঠন হিসাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করলো এবং এ আইনের তফসিল-২ এ জামায়াত ও ছাত্রশিবিরসহ এর সব অঙ্গ সংগঠনকে নিষিদ্ধ সত্ত্বা হিসাবে তালিকাভুক্ত করলো ফলে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।