জুন ২, ২০২৩, জ্যাকসন হাইটস ॥ নিউইয়র্ক সিটির ২৫ ডিস্ট্রিক্ট এর কাউন্সিলম্যান শেখর কৃষ্ণান তার পূণ:নির্বাচনী জনসংযোগের অংশ হিসেবে আজ জ্যাকসন হাইটস এর ৭১-৭২ স্ট্রিটের মধ্যখানে রুজভেল্ট এভিনিউ এর ওপরে অবস্থিত জ্যাকসন হাইটস্ ইসলামীক সেন্টার পরিদর্শন করেছেন। জুম্মার নামাজের খৃুতবা’র আগে মসজিদে উপস্থিত হলে তাকে স্বাগত জানান বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর মুুক্তিযোদ্ধা ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মূলধারার ডেমোক্র্যাট রাজনীতিক আবু জাফর মাহমুদ। শেখর কৃষ্ণান জ্যাকসন হাইটস এর ইসলামীক সেন্টারের ইমাম মাওলানা আব্দুস সাদিকসহ উপস্থিত মুসুল্লিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মত বিনিময় করেন। তিনি বলেন, জ্যাকসন হাইটস, উডসাইট ও এল্মহার্স্টের মুসলিম বাঙালি কমিউনিটি আমার নিজস্ব কমিউনিটি। এই কমিউনিটির সকল ভালোমন্দের জন্য আমি ও আমার অফিস সদা প্রস্তুত। বাংলাদেশিদের সেবার জন্যই আমার অফিসের সহকারি হিসেবে বাঙালি কর্মকর্তা রয়েছেন। তিনি সবসময় আপনাদের পাশে রয়েছে।
মূলধারার রাজনীতি অনুশীলনের সংগঠন ইউনাইটেড ফর প্রোগ্রেস ও জয় বাংলাদেশ ইনক্ এর প্রেসিডেন্ট আবু জাফর মাহমুদ বলেন, শেখর কৃষ্ণান তার নির্বাচনী এলাকার বাংলাদেশিরে প্রতিটি দাবি ও প্রত্যাশাকে সবচেয়ে গুরুত্বের সঙ্গে মূল্যায়ণ করে আসছেন। জ্যাকসন হাইটস্ এর বাংলাদেশ স্ট্রিট তারই কর্মতৎপরতার ফসল। এবার রমজানে তিনি ইন্টারফেইথ ইফতার আয়োজন করে সকল ধর্মীয় কমিউনিটির সম্মাণিত ব্যক্তিদেরকে বিশেষ সম্মাননা দিয়েছেন। এটি অনেক বড় দৃষ্টান্ত।
কৃষ্ণান বলেন, এটি আমার জন্যেও গর্বের যে আমি বাংলাদেশি কমিউনিটির জন্য সিটি কাউন্সিলে আমার কন্ঠস্বর উচ্চকিত করতে পেরেছি। ৭৩ স্ট্রিটকে বাংলাদেশ স্ট্রিট হিসেবে পুণ:নামকরণ করতে পেরে আমি নিজেও ধন্য হয়েছি। এখন এটি আমাদের গোটা কমিউনিটির জন্য একটি মাইলফলক হয়েছে। আমি এ পর্যন্ত বাংলাদেশি কমিউনিটির জন্য যা কিছু করতে পেরেছি, তার পেছনে এই কমিউনিটির নেতৃত্বস্থানীয় ব্যক্তিদের অনেক বড় অবদান রয়েছে। এখানকার বাংলাদেশি ব্যবসায়ী, ট্যাক্সিচালকসহ সকল পেশাজীবীদের নিজস্ব প্রয়োজনগুলো মেটানোর জন্য আমাদের প্রচেষ্টার কোনো কমতি নেই। বিশেষ করে বাংলা ভাষায় তাদের বিষয়গুলো বুঝে যাতে সেবা প্রদান করা যায়, সে ব্যাপারটি আমরা নিশ্চিত করেছি।
শেখর বলেন, আমি পূণ:নির্বাচনী প্রার্থী হিসেবে আপনাদের সামনে উপস্থিত হয়েছি। ২৭ জুন পূণ:নির্বাচন। আমি প্রত্যাশা করি আপনাদের পূর্ণ সমর্থন ও সহযোগিতা আমার জন্য থাকবে।
বাংলাদেশি কমিউনিটির পক্ষে আবু জাফর মাহমুদ বলেন, কিছু কিছু স্কুলে হালাল খাবার দেয়া হলেও সব স্কুলে এই ব্যবস্থাটি এখনও চালু হয়নি। সেসব স্কুলে আমাদের আমাদের সন্তানদের উপবাস কাটাতে হয়। এ বিষয়ে তিনি শেখর কৃষ্ণানের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এ বিষয়ে শেখর অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বান দেন। তিনি বলেন, সিটি কাউন্সিলে এ বিষয়ে একটি সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করার জন্য আমার মুখ্য ভুমিকা থাকবে। একই সঙ্গে আবু জাফর মাহমুদ বিভিন্ন ধর্মীয় দিবস ছুটি ঘোষণার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান।
মাওলানা আব্দুস সাদিক, জ্যাকসন হাইটস ইসলামীক সেন্টার থেকে প্রকাশ্যে মাইকে আজান দেয়া ও প্রতি শুক্রবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জুম্মার আগেই ছুটি ঘোষণা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।