Tuesday, November 19, 2024
Google search engine
Homeস্বদেশ সংবাদঝিনাইদহে মুখোমুখী আওয়ামী লীগ-বিএনপি, ভাঙচুর ও লুটপাট

ঝিনাইদহে মুখোমুখী আওয়ামী লীগ-বিএনপি, ভাঙচুর ও লুটপাট

জয় বাংলাদেশ: ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুতে ভায়না ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক শিখরকে মারধরের ঘটনায় বিএনপির এক সমর্থককে কুপিয়ে আহত করেছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। রোববার (১ সেপ্টেম্বর) ভোরে হরিণাকুন্ডু উপজেলার ভায়না ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনার জেরে উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামে অন্তত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও সমর্থকদের বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়েছে। লুটপাট করা হয়েছে শতাধিক বাড়িঘরের আসবাবপত্র, নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও গরু ছাগল। বিএনপি সমর্থকরা এসব ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে বলে দাবি আওয়ামী লীগ সমর্থকদের।

জানা গেছে, শনিবার বিকালে ওই এলাকার বাঁকচুয়া লক্ষ্মীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে ভায়না ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক শিখরকে মারধর করে ওই ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি নাসিরুল ইসলাম ও ছাত্রদলের সভাপতি রিপনসহ কয়েকজন। এ ঘটনার জেরে সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুর গ্রামের ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিন্টু মালিতাকে কুপিয়ে আহত করে আওয়ামী লীগ সমর্থকরা। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে রোববার ভোরে ওই ইউনিয়নের তৈলটুপি, ভায়না, বাগআচড়া, দোবিলা, মালিপাড়াসহ বিভিন্ন গ্রাম থেকে কয়েকশত বিএনপি নেতাকর্মী এসে আওয়ামী লীগ সমর্থকদের বাড়িঘর ভাঙচুর এবং লুটপাট করে।

হরিণাকুন্ডু উপজেলা কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিপুল হোসেন বলেন, ভোরে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে গ্রামের ঘুমন্ত নিরীহ আওয়ামী লীগ সমর্থকদের বাড়িঘরে অতর্কিত হামলা করে বিএনপি সমর্থকরা। এ সময় অন্তত অর্ধশতাধিক বাড়িতে ভাঙচুর ও তাণ্ডব চালোনা হয়। প্রায় শতাধিক বাড়ির আসবাবপত্র, নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও গরু ছাগল লুট করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

ভায়না ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক সিরাজুল ইসলাম মাস্টার বলেন, কে বা কারা এসব করেছে সেটি আমরা জানি না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমাদের নেতাদের নামে মিথ্যা প্রচারণার কারণে আমাদের কয়েকজন কর্মীর সঙ্গে আওয়ামী লীগের সমর্থকদের বাকবিতণ্ডা হয়। তার জেরে আমাদের মিন্টু মালিতা নামে এক নেতাকে কুপিয়ে আহত করেছে। আমরা তার চিকিৎসা নিয়ে ব্যস্ত।

ভায়না ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল হুদা তুষার বলেন, শনিবার রাত থেকেই আওয়ামী লীগ সমর্থকদের বাড়িঘরে হামলা ও লুটপাটের পরিকল্পনা চলছিলো বলে আমরা জানতে পেরেছিলাম। পরিস্থিতি সামাল দিতে আমরা অনেকবার সেনাবাহিনী, পুলিশ ও প্রশাসনকে জানিয়েছি । তবে কেউ সেখানে যায়নি।

হরিণাকুন্ডু থানার ওসি মো. জিয়াউর রহমান বলেন, খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। কোনো পক্ষ থানায় মামলা বা অভিযোগ দেয়নি। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

নতুন সংবাদ

Recent Comments