জয় বাংলাদেশ : দ্বিতীয় বারে প্রেসিডেন্ট হলে অবৈধ অভিবাসীদের বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার হুঁশিয়ারি আগেই দিয়েছেন ডনাল্ড ট্রাম্প। বারবার তার নিবার্চনী প্রচারণায় স্মরণও করিয়ে দিয়েছেন । তবে এবার আর প্রতিশ্রুতিতে নয় বরং কথা মতো কাজ করতে যাচ্ছেন ট্রাম্প। যার ধারাবাহিকতায় সেনা সহায়তায় গণহারে অবৈধ অভিবাসীদের বিতাড়নের পরিকল্পনা করছেন তিনি।
এটি ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অভিবাসী বিতাড়নের অভিযান হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প। এসব অভিবাসীদের নিজ দেশে ফেরানোর পরিকল্পনা রয়েছে তার।
দেশে অবৈধ অভিবাসীদের প্রসঙ্গে রিপাবলিকান প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্প ও ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী কামালা হ্যারিস বরাবরই ভিন্ন মত পোষণ করেছেন। ট্রাম্পের দাবি অবৈধ অভিবাসীরা দেশকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।
অন্যদিকে, আশ্রয়প্রার্থীদের প্রতি সহানুভূতি দেখিয়েছেন কামালা হ্যারিস। তিনি বলেছেন, ইচ্ছাকৃত ভাবে কেউ বাস্ত্যুচুত হয় না। ব্যক্তিগত বা পরিবারের ভরণ পোষণের জন্যই বাধ্য হয়েই এই দেশে থাকতে আশ্রয় চান তারা।
পরিসংখ্যান বলছে, যুক্তরাষ্ট্র অবৈধ অভিবাসী রয়েছে প্রায় ১১ মিলিয়ন। এর মধ্যে ৭ মিলিয়ন অবৈধ অভিবাসীর তথ্য রয়েছে প্রশাসনের কাছে। ট্রাম্পের প্রথম শাসনামলে মুসলিম দেশগুলোতে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেন ট্রাম্প। এছাড়াও অবৈধ অভিবাসীদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে মেক্সিকো সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করারও পদক্ষেপ নেন তিনি।
অন্যদিকে, অভিবাসী সঙ্কটের মূল কারণ খুঁজে বের করে সেদিকে নজর দেন কামালা। পরে, গুয়েতেমালা ভ্রমণেকালে অবৈধ অভিবাসীর বিষয়ে সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। সেসময় দেশটির নাগরিকদের অ্যামেরিকায় অবৈধ ভাবে প্রবেশ না করতে সাবধান করেন হ্যারিস।
অবৈধ অভিবাসীদের প্রবেশের ক্ষেত্রে কামালা হ্যারিসের হাত রয়েছে বলে দাবি তোলে রিপাবলিকানরা। পরে দৈনিক অবৈধ অভিবাসীদের অনুপ্রবেশের সংখ্যা আড়াই হাজারের অধিক ছাড়িয়ে গেলে সীমান্ত বন্ধে নির্বাহি আদেশ দেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।