জয় বাংলাদেশ : প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের ক্যাবিনেটের প্রত্যেককে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে ব্রিটেইনের মতো ছায়া মন্ত্রিসভা গঠন করবে ডেমোক্র্যাটরা বলে জানিয়েছেন নর্থ ক্যারোলাইনার ডেমোক্রাটিক কংগ্রেসম্যান উইলি নিকেল। নিকেল আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, এভাবেই আগামী মধ্যবর্তী নির্বাচনে ঘুরে দাঁড়াবে নীল শিবির।
ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিসের সাধারণ নির্বাচনে বিপর্যয় নিয়ে চলছে দলের মাঝে পরস্পরকে দোষারোপের খেলা। বলা হচ্ছে বেশকিছু সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে ভুল ছিলো। এছাড়া তহবিল সংগ্রহেও শৃঙখলা দেখা যায়নি। প্রচুর অর্থ সংগ্রহ করা হলেও তা কার্যকর ভাবে ব্যবহার করা যায়নি।
লাল শিবিরের বিপ্লবের পর অনেকটাই দিশেহারা নীল শিবির। নোটাস ওয়েব সাইট হ্যারিসের ভরাডুবির পেছনে বেশি কিছু কারণ তুলে ধরেছে। যার মধ্যে দলীয় সমন্বয়হীনতা, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনর সঙ্গে দূরত্ব এবং সমর্থকদের মাঝে প্রাথমিক জোয়ার কাজে লাগাতে ব্যর্থতার কথা বলা হয়েছে।
গর্ভপাত ইস্যুতে ভর করে ২০২২ সালের মধ্যবর্তী নির্বাচনে লাল ঢেউ থামিয়ে দিয়েছিলো নীল শিবির। আর তাই এবারও সেই বিষয়টিকে ঘিরে ভোটার টানার যেই কৌশল নেয়া হয়েছিলো, তা শেষ পর্যন্ত কাজে লাগেনি বলে মনে করা হচ্ছে।
সবকিছু ছাপিয়ে গেছে নিত্যপণ্যের অসহনীয় মূল্য। তার সঙ্গে আবাসন সংকট চরম আকার ধারণ করায় শ্রমজীবীরা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন ডেমোক্র্যাটদের কাছ থেকে। যা বুঝতে পারেনি দলটির নেতৃত্ব। তরুণদের টানতেও ব্যর্থ হয়েছে নীল শিবির। এক্ষেত্রে কামালার চেয়ে বাইডেনের দোষ বেশি দেখছেন বিশ্লেষকরা।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা আরও বলছেন, সাধারণের দুর্দশার কথা মাথায় না রেখে সেলেব্রিটি কালচার অর্থাৎ তারকাদের নিয়ে সমাবেশ করেছেন হ্যারিস। এতে মানুষ আরও বেশি ক্ষুব্ধ হয়েছে।
তাছাড়া নির্বাচনি প্রচারণার দায়িত্বে থাকা ডেমোক্র্যাটিক শিবিরের কর্তব্যক্তিদের দিকেও আঙ্গুল তোলা হচ্ছে। তারা সাধারণের মনোভাব বুঝে সেভাবে হ্যারিস-ওয়ালজ শিবিরকে প্রকৃত অবস্থা বোঝাতে ব্যর্থ হয়েছে।
এদিকে সংবাদমাধ্যম ব্যক্তিত্ব জো রোগান পরাজয়ের আদ্যপান্তো নিয়ে কামালার সাক্ষাৎকার নেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। নির্বাচনের ঠিক আগ দিয়ে প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সাক্ষাৎকার নেন তিনি। যা প্রায় ৫০মিলিয়ন মানুষ দেখেছে বলে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।