জয় বাংলাদেশ: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোয় ডেমোক্র্যাটিক পার্টির চারদিনব্যাপী জাতীয় সম্মেলনের শুরুর দিনে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিদায়ী ভাষণ। মঞ্চ থেকে শুরু করে চারদিকে ৮১ বছরের গণতান্ত্রিক নেতা আর ৪৬ তম প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানাতে সবর্স্তরের মানুষের উচ্ছ্বাস। শীর্ষ ডেমোক্র্যাট নেতাদের সঙ্গে সপরিবারে যোগ দেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থায় যখন শেষবারের মতো দলের জাতীয় সম্মেলনের মঞ্চে মি. বাইডেন, তখন দর্শক সারির সবাই একসঙ্গে দাঁড়িয়ে সম্মান দেখান তাকে।
সবার কণ্ঠ থেকে আসে “ধন্যবাদ জো”। একটু আগেই দেয়া কন্যা অ্যাশলি বাইডেনের আবেগঘন বক্তব্য ও তারপরে নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষের এই ভালোবাসায় অশ্রুসজল হয়ে ওঠেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। নিজেকে সামলে নিয়ে বলেন, “কঠিন সময় শেষ হয়েছে, এখন ভালো সময়।”
দায়িত্ব নেওয়ার পর নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে দেশের জন্য কাজ করেছেন বলেও জানান তিনি। বলেন, “আমেরিকা, আমি আমার সর্বোচ্চটা তোমাকে দিয়েছি,”
গণতান্ত্রিক ধারা বজায় রাখতে আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী কমালা হ্যারিসকে বিজয়ী করার আহ্বান জানান প্রেসিডেন্ট বাইডেন। তিনি বলেন, “গণতন্ত্রকে অবশ্যই রক্ষা করতে হবে। আমরা আমেরিকার আত্মাকে রক্ষা করার জন্য লড়ছি,”।
প্রেসিডেন্ট পদ থেকে বিদায় নেওয়ার আগে দলের জাতীয় সম্মেলনে এটিই তার শেষ ভাষণ। মি. বাইডেন মঞ্চে ওঠার আগে আকস্মিকভাবে সেখানে হাজির হয়ে নজর কাড়েন আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কামলা হ্যারিস।
কামলা হ্যারিস বলেন, “জো, আপনার ঐতিহাসিক নেতৃত্বের জন্য ধন্যবাদ। আমরা আপনার কাছে চির কৃতজ্ঞ,”। মঞ্চে ছিলেন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির আরেক প্রভাবশালী নেতা হিলারি ক্লিনটন। তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর মি. বাইডেন হোয়াইট হাউসের মর্যাদা ফিরিয়ে এনেছেন।
পৃথিবী জুড়ে ছোটোবড় সব দেশেই যখন ক্ষমতা আর শাসনের মোহের জন্য একজন নেতা বা ব্যক্তি জনগণের কাছে ঘৃণিত ও ধিকৃত হয়, সেই বাস্তবতায় জো বাইডেন গড়লেন এক অনন্য নজির। বিদায়ী ভাষণেও দেশ ও গণতন্ত্রের প্রতি সর্বোচ্চ আবেগ, ভালোবাসা আর আগামীর জন্য দরকারি তথ্য দিয়ে তিনি।