ভারতের লজ্জাজনক পলায়ন পরাশক্তিতো নয়ই, নিজের অস্তিত্ব রক্ষার যোগ্যতার পরীক্ষায় ফেল মেরেছে ভারতীয় প্রতিরক্ষা পলিসি। বেসামরিক তরুণ বাংলাদেশী ছাত্র ছাত্রীরাই তা প্রমাণ করে দিয়েছে লাল সবুজ পতাকা হাতে প্রতিরোধ মিছিল গড়ে। ভারতের এই লজ্জাজনক পলায়ন এবং অপমানের জন্যে দায়ী তাদের বাংলাদেশনীতি। মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ দখল করতে এক পরিবারকে ভরসা করে বাংলাদেশীদের শত্রুতার নীতিই তাদেরকে পালাতে বাধ্য করেছে।
বাংলাদেশকে চিরপদানত রাখতে মুসলিম বিদ্বেষ এবং এক পরিবারের জুলুমে সহায়তা দিয়ে সফল হবার স্বপ্ন দেখার উপযুক্ত শিক্ষা পেয়ে নিজেই হাত পা গুটিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছে ভারতের বর্তমান নীচু মানসিকতার নেতৃত্ব। পৃথিবীর জানা হলো কেবলমাত্র রাজনৈতিক দল বিজেপি নয়, ভারত নিজেই এই বেদম মার খেয়ে ছিন্ন ভিন্ন হবার ভয়ে সব ঝুলি পেটরা নিয়ে গোপনে পালিয়ে এসেছে বাংলাদেশ থেকে।
ভারতের সীমাহীন বৈষম্যনীতি
মুসলিম এবং ইসলামের বিরুদ্ধে ক্রমাগত আগ্রাসনের ধারাবাহিক ফেরাউনবাদী মতলব চালিয়ে এসেছে ভারত। তার অন্যান্য সবপ্রতিবেশীদের কাছে ভারতীয় বিদ্বেষ ও হিংসাত্মক পলিসি ব্যাপকহারে পরিচিত এবং নিন্দিত। এমনকি নিজের দেশে জাত-গোষ্ঠী, ভাষা এবং নৃতাত্ত্বিকজাতি ও অঞ্চলভিত্তিক বৈষম্যনীতির জন্যে ভারতীয় নেতৃত্ব প্রথম থেকেই সমালোচিত। এই রাজনৈতিক নেতৃত্বের ধারা সেদেশের সামরিক বেসামরিক আমলাদের কাছেও গভীর বিরক্তিকর বলে কড়া সমালোচনা আছে। সেভেন সিষ্টার্স নামে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলো এমনকি পশ্চিমবাংলা এবং তার আশপাশে ব্যাপক মিছিলে উচ্চকিত শ্লোগান চলছে কেন্দ্রীয় শাসকদের দায়িত্বজ্ঞানহীন পলিসির বিরুদ্ধে।প্রকাশ্যে শ্লোগান উঠছে “দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা”।অতীষ্ঠ এই প্রদেশগুলো রাজধানী দিল্লির পরিবর্তে ঢাকাকে রাজধানী পেতে নিজেদের ভবিষ্যৎ পথ নির্দেশনা ঘোষণা দিয়ে চলেছে দিনরাত। কাস্মীরে দীর্ঘ যুগ যুগ ধরে যুদ্ধবন্দীর জীবন যাপন করছে ভারতীয় সৈন্যদের দখল করা এই রাজ্যে।পাঞ্জাবী সৈন্য এবং আমলাদের বাধ দিলে ভারতকে একটা অকার্যকর রাষ্ট্র বলেই চিহ্নিত করার যুক্তি আলোচিত হচ্ছে সচরাচর। সেই পাঞ্জাবও চাইছে দিল্লির বিদ্বেষমুক্তি।
ক্ষুদ্র হয়ে আসছে ভারতের প্রতি বহির্বিশ্বের সমর্থন
সাম্প্রতিক লোকসভার নির্বাচনে কথিত হিন্দুত্ববাদের নামে দেশজুড়ে অরাজক রাজনৈতিক নিন্দিতদেরকে ভোট না দিয়ে মোদিজীকে দুর্বল সরকার নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে বাধ্য করেছে ভোটার ভারতবাসী।বিজেপি সরকার যেকোন সময়েই অনাস্থার আঘাত ভোগ করতে পারে। বাংলাদেশ পলিসির জন্যে সর্বভারতে ব্যাপক নিন্দিত নরেন্দ্রমোদীজীর এবারের বিজেপি কোয়ালিশন সরকার। ভারতীয় বিজেপি কোয়ালিশন সরকার আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক জগতেও ভয়ানক নাজুক অবস্থায় রয়েছে।তারা প্রধান পরাশক্তি ইউনাইটেড ষ্টেটস অব আমেরিকার কাছে কাট্টা প্রতারণার দায়ে সন্দেহের তালিকাভুক্ত বলে ব্যাপক গুঞ্জন রয়েছে। সম্প্রতি ইজরায়েলও ভারতের অক্ষমতার বোঝা বহন করতে অসম্মতি জানিয়েছ। ভারত এতদিনের কৌশলগত অবস্থান থেকে সরে পড়েছে। একক পরাশক্তি আমিরকার সাথে যে কৌশলগত অবস্থান ছিল, তা থেকে ঝরে পড়েছে। ভারত সরকার বর্তমানে দিশেহারা প্রায়। বাংলাদেশ প্রশ্নে কি করা যায়, তাতেও তারা এখন দ্বিধান্বিত ও সিদ্ধান্তহীন। তাদের বাংলাদেশি পুতুল শেখ হাসিনার অন্য কোনো দেশে আশ্রয়ের চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে গেছে। তাকে নিয়েও তারা একটি জটিলতায় আছে। রাখবে না ফিরিয়ে দেবে এই প্রশ্নে।
ভারত বাংলাদেশের সুসম্পর্কের সুযোগ হারিয়ে যে চরম শত্রুতা করে এসেছে তার মূল্যায়ন করার আগে বিভিন্ন বাঁধের গেইট খুলে দিয়ে আকস্মিক বণ্যায় বাংলাদেশের প্রচুর ক্ষতির দায় কাঁধে নিলো আবার। সহজেই বলা যায় শক্তিহীন ভারত বাংলাদেশের মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ অব্যাহত রেখে চলেছে যাতে তার হচ্ছে ক্ষতি, ক্ষুদ্র হয়ে আসছে তার প্রতি বহির্বিশ্বের সমর্থন। অপরদিকে বাংলাদেশের প্রতি জ্যামিতিক হারে লাফিয়ে উঠছে সারাবিশ্বের সমর্থন সহানুভূতি।
সম্প্রতি আমেরিকার মন পাওয়ার জন্যে অস্থির দৌড় ঝাপ করছে ভারত সরকার। সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের চেষ্টায় কিছু আশ্বাস দিয়ে ভারতীয় প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা আমেরিকার প্রতিরক্ষা দপ্তরে এসে অনুনয় বিনয় করে নিষ্ফল ফেরত গেছেন। মাফ চেয়েও কাজ হয়নি। এসবই বিজেপি সরকারের পলিসির খেসারত। চীনের সাথে সম্পর্ক মিটমাটে ব্যর্থ, পাকিস্তানের সাথে শত্রুতা, এমনকি নেপাল, ভূটান, শ্রীলংকা মালদ্বীপসহ সকল প্রতিবেশীর সাথে শীতল সম্পর্ক নিয়ে ভারতীয় রাজনৈতিক নেতৃত্বের ঘুমের ক্ষতি চলছে বলে নিত্য খবর।
হাসিনা- রেহানার প্রতি ভারতের ভালোবাসা কৃত্রিম!
ভারতীয় কিছু মিডিয়া বানানো স্ক্রিপ্ট শুনিয়ে শ্রোতা দর্শকদের মধ্যে ভারত সরকারের বিশাল শক্তি, চমৎকার বিশ্ব-সম্পর্ক, অঞ্চলে দাপটসহ নানা কিসসা কাহিনি জাহির করে ইমেজ পূণরুদ্ধার করতে অবদান রেখে চলেছে। এতে আপাতত সফলতার লক্ষণ নেই।
বাংলাদেশে শেখ হাসিনাদের সমগ্র আত্নীয় স্বজন এবং নিজেদের রাজনৈতিক মহলের বর্তমান পরিণতির জন্যে শেখ বংশের পলিসি এবং কৃতকর্মই মূলত: দায়ী। তবে ভারত সরকারের উপদেশ এবং নিজস্ব লক্ষ্য অর্জনে হাসিনাদেরকে বাংলাদেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে সবধরণের অন্ধ সমর্থন দিয়ে ভারতের যে ক্ষতি হয়েছে, তা কখনো শোধ দেয়া সম্ভব হয় কিনা যথেষ্ট সন্দেহ আছে। সামরিক ও কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের আভাস অন্যরকম। হাসিনা রেহানাকে ভালোবাসাটা ভারতীয় নেতৃত্বের দেখানো পলিসি মাত্র। মূলত: আইডিয়া হচ্ছে, তাদেরকে দিয়ে নোংরা প্রকল্প কার্যকর করানো। নোংরা প্রকল্পটি হচ্ছে, বাংলাদেশীদেরকে দিয়ে নিজ দেশের সাথে মোনাফেকি করানো। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ব্যবহার করে একদিকে “শেখ” নামটা বাংলাদেশ থেকে মুছে দেয়ার পরিস্থিতি সাজানো, নিজেদের স্বার্থরক্ষার সীমানায় বাংলাদেশকে যেভাবে ইচ্ছা ওভাবে লিখে নেয়া। বাকিটা দলিল ছাড়া আন্ডারটেবিলে আদায় করে নেয়া। অপরদিকে প্রতিশোধ সম্পন্ন করা। প্রশ্ন আসে কি সেই প্রতিশোধ?
হাসিনা রেহানার পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের গোপন বোঝাপড়া হয়েছিল পাকিস্তান এবং আমেরিকার সাথে ১৯৭১ সালের নয় মাসে তার পাকাস্তানে থাকার সময়। একাত্তরে পাকিস্তানে নিয়ে যাবার পর আমেরিকা-পাকিস্তানের সিয়েটো-সেন্টো চুক্তির ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের সাথে অনুরূপ চুক্তির বিষয়ে বোঝাপড়া হয়েছিলো। যাতে সপ্তম নৌবহর ফিরে যায় কোনো কিছু না করে। যুদ্ধ জাহাজ ফেরত যাওয়ার বিষয়টা ছিলো মুজিব এবং সিআইএ’র মাধ্যমে সমঝোতার ফল। এভাবেই বাংলাদেশ থেকে ভারতীয় সৈন্য সরিয়ে নিতে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে মুজিবের বলার পেছনেও ছিলো আমেরিকার সমর্থন। যা ভারত নিজের ইচ্ছায় না হলেও সম্পর্কের ঝুঁকি এড়াতে তাৎক্ষণিক মেনে নিয়েছিলো। যেহেতু বাংলাদেশে সেনাবাহিনী গঠন না করা এবং ভারতীয় প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের দিয়ে বাংলাদেশ পরিচালনার চুক্তি যুদ্ধকালীন অস্থায়ী সরকারের উপ-রাষ্ট্রপতি জনাব সৈয়দ নজরুল ইসলাম এবং প্রধানমন্ত্রী জনাব তাজউদ্দিন আহমদ সাহেবের সাথে ভারত সরকার করেই রেখেছিলো। তাই এই মূহুর্তে মুজিবকে না চটিয়ে পরবর্তীতে যা করার তার সুযোগতো হাতেই আছে। কিন্তু গোল বাঁধে ভিন্ন যায়গায়।
তৎকালীন সোভিয়েত রাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা মুজিবের সাথে আমেরিকার গোপন বোঝাপড়ার বিষয়টি জেনে যায়।তারাই ইন্দিরা গান্ধীকে জানিয়ে দেয় এই তথ্য। যা হবার তা-ই ঘটার জোগাড় হয়ে গেলো। ভারত সর্বশক্তি দিয়ে মুজিবুর রহমানকে নিজের পথ থেকে উপড়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়ে নিল। ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা পেলো অফিসিয়াল নির্দেশ।
মুজিব এসময় সোভিয়েত কম্যুনিস্ট ধারার মত দেখতে শুনতে এ ধরনের বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ-(বাকশাল) করেছিলেন। এটা ছিল মূলতঃ একদলীয় শাসনাধীন কর্তৃত্ববাদী দু:শাসন। বিরোধী দল এবং মুক্তিযোদ্ধা হত্যার এই রাষ্ট্রীয় ধারাকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি পরিচয়ের মুখোশে মুক্তিযুদ্ধে উত্থান পাওয়া বিশাল সম্ভাবনাময় ধারার বিনাশ বিলুপ্তির সূচনা ঘটে বলেই বিশ্লেষকদের মূল্যায়ন।
ভারতের স্বাধীনতা দিবসের রাতেই বংশশুদ্ধ শেখ মুজিব হত্যা, সামরিক মুন্সিয়ানা!
১৫ই আগষ্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবসের রাতেই রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানকে বংশশুদ্ধ হত্যার মাধ্যমে যুদ্ধের আরেক অধ্যায় চালু করা হয়।এই বিশেষ দিনই হচ্ছে ভারতের স্বাধীনতা দিবস। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট মুজিবকে হত্যার দিন তারিখ বাছাই করার মধ্যেও সামরিক মুন্সিয়ানার সংকেত পাওয়া যায়। মুক্তিযুদ্ধের শেষ সময়ে বাংলাদেশ রণাংগনে ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রবেশও ছিলো ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ দেখানোর লক্ষ্যে।মুক্তিযোদ্ধাদের গড়া বিজয়ের পরিস্থিতিতে প্রতিবেশি শত্রু প্রতিপক্ষ পাকিস্তানকে খন্ড করতে বিজয়ী হয়ে আঞ্চলিক শক্তিরূপে নিজের মর্যাদা বৃদ্ধি করেছিলো ভারত। বাড়তি মর্যাদাবান ইমেজ ব্যবহার করে বাংলাদেশ দখল করার ছলচাতুরী ঠিকই উন্মোচন হয়ে যায় সময়মতো।
৫ই আগষ্ট ২০২৪ একই সাথে অভ্যুত্থান, কূটনৈতিক এবং মিলিটারি ষ্ট্র্যাটেজিক যুদ্ধে ভারতীয় আগ্রাসন খতম এবং বাংলাদেশ গিলে খাবার সামরিক পদক্ষেপ সম্পূর্ণ ব্যর্থ করে দেয়া হয়েছে।পরাজিত হয়েছে তাদের নয়া উপনিবেশিক সমর কৌশলগত বলপ্রয়োগ।বিদায় হয়েছে তাদের সামরিক বাহিনী ও সামরিক গুপ্তচর সদস্যরা।
তাদের বাংলাদেশী রাজনৈতিক লুটেরা ব্যবসায়ী, মোনাফেক আমলা, উকিল, জাজ দালাল ঘাতকরা গেছে পালিয়ে।পরাজিতদের দলীয় প্রধান নেতার মূর্তিগুলো আবর্জনার স্তুপে ফেলে দিয়েছে জনগণ।এই দলীয়গোষ্ঠীর রাজনৈতিক সক্ষমতাও তলানির শেষ কিনারায়। হারাতে চলেছে অস্তিত্ব। জনগণকে কোন অস্ত্র চালাতে হয়নি এই অত্যাধুনিক প্রতিরোধ যুদ্ধে। সশস্ত্র ঘাতকদের প্রধান শেখ হাসিনাকে সামরিক হেলিকপ্টারে উড়িয়ে নিয়ে গেছে ভারত। তারা তাদের কলাবরেটর হাসিনার রাজনৈতিক ক্ষমতা রক্ষা করতে ব্যর্থ হলেও সমঝোতায় আত্নসমর্পন করে প্রাণ বাচিঁয়ে নিয়ে গেছে তাদের দেশে।
মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে প্রতিবেশির লজ্জাজনক আত্মসমর্পন
মুক্তিযোদ্ধা জাতির এই বাংলাদেশে এটা ছিলো প্রতিবেশী ভারতের লজ্জাজনক আত্নসমর্পন এবং দেশপ্রেমিক বাংলাদেশীদের দৃঢ়-প্রত্যয়ী শক্তিমত্তার পরীক্ষায় মর্যাদাবান বিজয়। দুনিয়া দেখেছে নিরস্ত্র জনগণ তাদের স্বদেশ রক্ষায় জালেমের মারণাস্ত্রের সামনে কিভাবে অকাতরে বুক পেতে দেয়। জালেম প্রতিরোধে কত ভয়ানক একতার শক্তি দিয়ে অস্ত্রধারীদের পলায়ন নিশ্চিত করে। অগণিত মারণাস্ত্রধারীর শক্তির চেয়েও আল্লাহর শক্তির উপর চূড়ান্ত আস্থা রাখার ঈমান কতো কার্যকরি!
পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে ভারতীয় গুম এবং খুনের আয়নাঘরবাজির অবশিষ্ট কিছু রাখছেনা আমাদের দেশরক্ষাশক্তি।এতকাল রাজনীতি ও সরকার নামের মুখোশে বাংলাদেশী রাষ্ট্রীয় কাঠামোর ধ্বংসের তান্ডব দেখেছি। প্রতিরোধের লৌহ কঠিন বেড়াজাল গড়ে দিগন্ত বেস্টন করেছি পরাশক্তির সমর্থনপুষ্ট সামান্য নমুনা তৎপরতায়। তাতেই ওরা অনুভব করেছে নিজ অস্তিত্বের ভূমিকম্প।
দেড়যুগের সামরিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয়, মনস্তাত্ত্বিক ও ভৌগোলিক আগ্রাসনের প্রতিশোধের দুয়ার গেছে খুলে। দৈত্য দানবের কাগুজে হুংকার এতেই হয়েছে ত্রটস্ত। ভয়ে কেঁপেছে তাদের বক্ষ, পালিয়েছে ইঁদুরের আদলে। পার হয়েছে সীমান্ত। ভারত-নির্ভর গোষ্ঠী আশ্রয় খুঁজে লুকিয়ে থেকেছে আড়ালে কাপুরুষের আস্তানায়।পালটে গেলো বাস্তবতা। একটি মারণাস্ত্র ব্যবহার না করেই যুদ্ধ জয়ের উল্লাসে মেতেছে বাংলাদেশ। কে ভেবেছে শত্রু হননে আঞ্চলিক দেশগুলো হাত মেলাবে বাংলাদেশের হাতে? আধ্যাত্মিক সর্বোচ্চ শক্তিমত্তার উত্তাপ বিচ্ছুরিত হবে প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে চেহারায় ?
আবু জাফর মাহমুদ, বাংলাদেশের বীর মুক্তিযোদ্ধা, আমেরিকার মূল ধারার রাজনীতিক ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক।