মিয়ানমারের উত্তর-পশ্চিম রাখাইনে সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহী আরকান আর্মির মধ্যে সংঘর্ষ বেড়েই চলেছে। সীমান্তের এ পয়েন্টে দীর্ঘ ২ বছর ধরে চলে আসা সংঘর্ষে সরকারি বাহিনী হারিয়েছে অন্তত ৬০টির অধিক ছোট-বড় ঘাঁটি। এদিকে সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে কেঁপে উঠলো তুমব্রু বাজার ও তুমব্রুগ্রামসহ আশপাশের ৫ গ্রাম। বুধবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ৪৫ পিলারের পাশে বিদ্রোহী আরকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে থাকা ছালিদং ক্যাম্পে আগুনের শিখা দেখা যাচ্ছে জামছড়ি সীমান্ত পয়েন্ট থেকে। এটি জান্তা বাহিনী থেকে কেড়ে নিয়েছিল তারা। এ ক্যাম্পে কে বা কারা আগুন দিয়েছে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এদিকে বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকালে ১টি জান্তা বাহিনীর ঘাঁটি দখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বিদ্রোহী আর্মি। ঘাঁটিটির নাম ফকিরা বাজারের কমনচিক ক্যাম্প। যেটিতে শতাধিক জান্তা সমর্থিত বাহিনী অবস্থান করছে। বুধবার রাত ৯ টার পর এ ক্যাম্পটি ঘিরে ফেলে বিদ্রোহী আরকান আর্মি। এর পর শুরু করে গোলাগুলি। যা এখনো চলমান।
দুপুর সোয়া ১২ টা নাগাদ প্রচণ্ড গোলাগুলি চলছিলো এ ঘাঁটিটির পতন ঘটাতে। যে ঘাঁটিটি বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ৪৬, ৪৭ ও ৪৮ নম্বর পিলারের ৬-৭ কিলোমিটার ভেতরে। এ গোলাগুলি চলাকালে সদরের বাংলাদেশ সীমান্তে বসবাসকারী জামছড়ি, ফুলতলী, চেরারমাঠ,আশারতলী জারুলিয়াছড়ি এবং ঘুমধুমের তুমব্রু বাজার,তুমব্রু পশ্চিমকূল,বাইশফাঁড়ি ও কোনারপাড়াসহ বেশকিছু গ্রামের মানুষ গোলাগুলির প্রকট আওয়াজ শুনতে পান তারা।
জামছড়ির বাসিন্দারা বলেন, দু’পক্ষের সংঘাত ও সংঘর্ষের ঘটনায় গোলাগুলির প্রকট শব্দ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এ সংবাদ লেখার সময় অবধি বিকাল পর্যন্ত চলছিল।
যাদের মধ্যে সীমান্তের অধিবাসী নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বার সাবের আহমদ,তুমব্রুর আবদুল জাব্বার, বাইশফাঁড়ির ছৈয়দ হোসেন ও চেরারমাঠের ছৈয়দ হোসেন এ সব তথ্য নিশ্চিত করেন। তারা বলেন,বুধবার দুপুরের পর বিমান হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর ১ টা থেকে এ সংবাদ লেখা অবধি গোলাগুলি চলছে।
তাদের ধারণা,রাখাইন রাজ্যের মন্ডু জেলার বলিবাজারের ১টি বড় সেনা ক্যাম্প দখলে ব্যাপক গোলাগুলি চলছে।