জয় বা্ংলাদেশ : প্রথম নারী হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে নিউইয়র্ক সিটির মেয়র পদপ্রার্থিতার প্রচারাভিযান শুরু করেছেন নিউইয়র্ক স্টেট সিনেটর জেসিকা রামোস।১৩ সেপ্টেম্বর শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে নিউইয়র্ক সিটির মেয়র পদপ্রার্থিতার প্রচারাভিযান শুরু করেন। মাসের পর মাসের জল্পনা-কল্পনার পর সিনেটর রামোস অবশেষে তার প্রার্থিতার ঘোষণা দেন।
ডেমোক্র্যাট সিনেটর জেসিকা রামোস ২০১৯ সাল থেকে অ্যালবানির উচ্চ কক্ষে দায়িত্ব পালন করছেন। প্রায় এক বছর ধরে মেয়র পদে প্রার্থিতা নিয়ে ভাবছেন বলে গুজব ছড়ানোর পর শুক্রবার সকালে একটি অনলাইন ভিডিও পোস্ট করে তার নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন।
রামোস বলেন, “আমি নিউইয়র্ক সিটির মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি কারণ আমি আমার শহরকে ভালোবাসি। আমি এই শহরে দুই ছেলেকে বড় করছি, এই শহর আমাকে বড় করেছে, এবং আমি চাই আমাদের শহরের কর্মজীবী পরিবারগুলো তাদের স্বপ্ন পূরণের জন্য লড়াই করার সুযোগ পাক। কিন্তু বর্তমান প্রশাসনের অধীনে সেটি এখন আর তেমন মনে হচ্ছে না।” ৩৯ বছর বয়সী রামোস কুইন্সের একজন স্টেট সিনেটর। তার দুই ছেলে নিউইর্য়কের পাবলিক স্কুলে পড়াশোনা করে এবং তার বাবা-মা কলম্বিয়া থেকে এসেছেন। তিনি যদি নির্বাচিত হন তবে তিনি হবেন নিউইর্য়কের প্রথম মহিলা এবং প্রথম ল্যাটিনা মেয়র। সিনেটর রামোস দীর্ঘদিন ধরে বর্তমান মেয়র অ্যাডামসের কঠোর সমালোচক হিসেবে পরিচিত। তার ভিডিওতে তিনি বলেন “আপনাদের কখনো জানতে হবে না আমি কার জন্য কাজ করছি বা কে আমাকে অর্থ দিচ্ছে।” তিনি আরো বলেন, “আমাদের সিটি হলে সেই বিশ্বাস পুনরুদ্ধার করা দরকার।” রামোস সরাসরি অ্যাডামসের দিকে আঙুল তোলে বলেন তাঁর মেয়রত্ব এখন চারটি পৃথক ফেডারেল তদন্তের আওতায় রয়েছে। উপরন্তু এর সাথে তার ঘনিষ্ঠ কিছু ব্যক্তির সাথে সংশ্লিষ্ট আছে।
জানা যায়—ডেমোক্র্যাট সিনেটর জেসিকা রামোস মেয়র অ্যাডামসের বিরুদ্ধে প্রাথমিক নির্বাচনে চ্যালেঞ্জ জানানো চতুর্থ ডেমোক্র্যাট যার মধ্যে আছেন সিটি কম্পট্রোলার ব্র্যাড ল্যান্ডার, প্রাক্তন কম্পট্রোলার স্কট স্ট্রিংগার এবং স্টেট সেনেটর জেলনার মাইরি।