নিউ ইয়র্ক আদালতে হাশ মানি মামলা খারিজের আবেদন ট্রাম্পের
জয় বাংলাদেশ : যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্প নিউ ইয়র্কের এক বিচারকের কাছে হাশ মানি মামলা খারিজ করতে এবং ৩৪টি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে দেয়া রায় তুলে নিতে আবেদন করেছেন। এর আগে, গত সোমবার প্রেসিডেন্টের জন্য সংবিধানে থাকা বিশেষ দায়মুক্তির অধিকার বহাল রেখে সুপ্রিম কোর্ট এক রুলে জানায়- হোয়াইট হাউযে থাকার সময় ডনাল্ড ট্রাম্পের নেয়া কোন আনুষ্ঠানিক পদক্ষেপ বা কার্যক্রমের জন্য বিচার করা যাবে না। তবে ব্যক্তিগত কাজের জন্য এ সুবিধা তিনি পাবেন না। সুপ্রিম কোর্টের দেয়া এ রায়ের প্রেক্ষিতে ট্রাম্পের আইনজীবীরা ওই একইদিনে হাশ মানি মামলা খারিজ চেয়ে আবেদন করেন ।
আদালতে ৫২ পৃষ্ঠার নথিতে ট্রাম্পের আইনজীবীরা বলেছেন, হাশ মানি মামলার বিচারটি প্রমাণ ও সাক্ষ্যের কারণে ‘কলঙ্কিত’ ছিল। প্রেসিডেন্টের দায়মুক্তির বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের যুগান্তকারী রায় এখন সেটি বন্ধ করে দিয়েছে। ওই নথিতে ট্রাম্পের আইনজীবী টড ব্ল্যাঞ্চ এবং এমিল বোভ লেখেছেন, ‘প্রেসিডেন্সির অফিসিয়াল-অ্যাক্টসে ফেডারেল সংবিধানের অধীনে একটি দায়মুক্তি ছিল যা ডিসট্রিক্ট অ্যাটর্নির গ্র্যান্ড জুরি কাঠামোগত ত্রুটির কারণে লক্ষ্য না করে বিচারিক কার্যক্রমকে কলঙ্কিত করেছেন।’ এ সময় আইনজীবীরা নিউ ইয়র্কের ম্যানহ্যাটন কোর্টের বিচারক জুয়ান মার্চানের দেয়া ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আগের রায়টি বাতিল করার অনুরোধ করেন।
তারা যুক্তি দিয়ে বলেছেন, সুপ্রিম কোর্টের দায়মুক্তি বহাল রাখার রায় হাশ মানি মামলাকেও প্রভাবিত করে, যদিও তা মূলত ট্রাম্পের ব্যক্তিক আচরণকে কেন্দ্র করে। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের প্রভাব বিবেচনা করার জন্য বিচারক মার্চান ট্রাম্পের সাজা ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিলম্বিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, আগের রায়ে ১১ জুলাই সাজা প্রদানের জন্য তারিখ নির্ধারিত ছিল ৷ সুপ্রিম কোর্ট ম্যানহ্যাটন ডিসট্রিক্ট অ্যাটর্নি অফিসকে প্রতিক্রিয়া জানাতে ২৪ জুলাই পর্যন্ত সময় নির্ধারিত করে দিয়েছে তবে ট্রাম্পের আইনজীবীদের নথির বিষয়ে মন্তব্য করেনি ম্যানহ্যাটন ডিসট্রিক্ট অ্যাটর্নি অফিস।