বিএনপিকে নির্বাচনের বাইরে রাখতে ছক কষে চক্রান্ত করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, ২৮ অক্টোবর প্রথম চক্রান্ত শুরু হয়। যাতে বিএনপি ক্ষমতায় আসতে না পারে, সে জন্য নির্বাচন থেকে দূরে রাখার চক্রান্ত করা হয়েছিল। আমরা বুঝতে পারিনি।
শনিবার (৯ মার্চ) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে প্রচারপত্র বিতরণ ও গণসংযোগ কর্মসূচিতে তিনি একথা বলেন। বিদ্যুৎ, গ্যাস, জ্বালানি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
মির্জা আব্বাস বলেন, দুই বছর আগে থেকে নকশা করে বেছে বেছে আমাদের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়। আমরা বুঝতে পারিনি। বোঝার ভুল হয়েছিল। অনেক নেতা-কর্মী জেলে গেছেন একটা মামলা নিয়ে আর বেরিয়েছেন ২০-২২টা মামলা নিয়ে।
তিনি বলেন, রাজনীতি করার কারণে অনেকবার জেলে গেছি, কিন্তু এবারের মতো করুণ অবস্থার কথা বর্ণনা করতে পারব না। বিএনপির লোকজনের ওপর নির্যাতন ও অত্যাচার সীমা ছাড়িয়েছে। এই নির্যাতন ও অত্যাচার বর্ণনা করা যায় না। তারপরও আমাদের নেতা-কর্মীরা এখনো তাদের মনোবল হারায়নি। তারা আশায় আছে, তারা যুদ্ধ করবে এবং গণতন্ত্রকে মুক্ত করবে। এ সরকারের পতন ঘটবেই, বলেন বিএনপির এ নেতা।
দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, জনগণকে কষ্ট দিতেই ক্ষমতায় টিকে আছে সরকার। মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা না থাকায় এমনটা করছে তারা। সরকারের সিন্ডিকেটের কারণে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি লাগামহীন। জনগণের পকেটের টাকা লুটে নিতেই বিদ্যুৎ-গ্যাস ও জ্বালানির দাম বারবার বৃদ্ধি করছে ক্ষমতাসীনরা।