দুই দফা বন্যার রেশ কাটতে না কাটতেই প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে আবারও বন্যার মুখোমুখি সিলেট ও সুনামগঞ্জের বাসিন্দারা। গত দুদিনে ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ৪৯৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। গেল ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জে ১৭০ মিলিমিটার, সিলেট ৬৯ মিলিমিটার, কানাইঘটে ৫৪ মিলিমিটার ও শেরপুরে ৬৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এতে সিলেট, সুনামগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
সোমবার (১ জুলাই) বিকালে আবারও অঝোর ধারায় বৃষ্টি শুরু হয়। এতে বৃদ্ধি পেয়েছে পানির লেবেল। সোমবার সকাল ৬টায় কানাইঘাটে পানি বিপদসীমার ৮ সেন্টিমিটার উপরে ছিল। সন্ধ্যা ৬টায় সেখানে পানি বিপদসীমার ১০২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী খুশী মোহন বলেন, আগামী ৩ দিনে দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাস বলেন, সিলেটের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছিলো। কিন্তু সিলেট ও ভারতে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। একই সঙ্গে নামছে ভারত থেকে পাহাড়ি ঢল। যার জন্য সিলেটের নদ-নদীর পানিও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার জানান, চেরাপুঞ্জির বৃষ্টির কারণে উজানের পানিতে সীমান্তের নিচু সড়ক প্লাবিত হয়। রোববার থেকেই পাহাড়ি ঢলের পানি যাদুকাটা নদী হয়ে তাহিরপুর-সুনামগঞ্জ সড়কের আনোয়ারপুরের পাশের ডুবন্ত অংশ প্লাবিত হয়েছে। এর কয়েক কিলোমিটার পরেই শক্তিয়ারখলা সড়কের একশ মিটার ডুবন্ত অংশও প্লাবিত। দুর্গাপুর অংশেও পানি উঠেছে।
সিলেটে ১৩টি উপজেলার মধ্যে ১০টি উপজেলার আশ্রয়কেন্দ্রে রোববার পর্যন্ত ১০ হাজার ৯০৩ জন আশ্রয় নিয়েছেন। জেলায় ৬৫৩টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। এর মধ্যে ২১৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে লোক উঠেছেন। তবে সিলেট সিটি কর্পোরেশন ও সদর উপজেলায় আশ্রয়কেন্দ্রে লোকজন নেই।