প্রতিযোগিতা না থাকলে ভালো নির্বাচন বলা যায় না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জিএম কাদের। তিনি বলেন, নির্বাচনে প্রতিযোগিতা থাকতে হয়, তা না হলে ভালো নির্বাচন বলা যায় না। তবে এটার ব্যবস্থা করার দায়িত্ব আমাদের হাতে ছিল না।
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে রংপুর নগরীর সেন্ট্রাল রোডের দলীয় কার্যালয় প্রাঙ্গণে এক মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
জিএম কাদের বলেন, আশা-আগ্রহ নিয়ে নির্বাচনে এসেছি। আমাদের একটা ধারণা আর যেটাই হোক আওয়ামী লীগের ক্ষমতা হারানোর কোনো ঝুঁকি নেই। কাজেই আমাদেরকে, জনগণকে এই নির্বাচনে পার্টিসিপেট করার সুযোগ করে দিবেন। জনগণ পার্টিসিপেট করবে কিনা সেটা তাদের বিষয়। আমরা যে যতই কথা বলি না কেন, দেশের বাহ্যিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক মনে হলেও সাধারণ মানুষের মনে উৎকণ্ঠা রয়েছে। সেই কারণে আমি মনে করি, দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি অত্যন্ত অস্বাভাবিক। বাংলাদেশ একটি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে।
তিনি বলেন, ১৭ নভেম্বর থেকে নির্বাচন বিরোধীদের আন্দোলন কমে যায়। মানুষ নির্বাচনীমুখী হয়েছে। নির্বাচনে কেউ যাক কিংবা না যাক, আমরা বুঝতে পেরেছিলাম নির্বাচন সময়মত হয়ে যাবে, নির্বাচন ঠেকানোর উপায় থাকবে না। আমাদের লক্ষ্য ছিল সংসদে থাকা ও দলের ঐক্য ধরে রাখা। আমরা বিগত সময় সংসদে গিয়ে জনগণের পক্ষে আমাদের অবস্থান তুলে ধরে আস্থা সৃষ্টি করতে পেরেছিলাম। সেটার বাইরে চলে গেলে জাতীয় পার্টির অস্তিত্ব বিলীন হতে পারে। শক্তিশালী প্লাটফর্ম না থাকলে দলের রাজনীতি বিলীন হতে পারে। জাতীয় পার্টির ভবিষ্যতের জন্য নির্বাচনে যাওয়াটা জরুরি ছিল।
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের মনে ভয় ছিল নির্বাচনে গেলে আমাদের কোনো সুফল আসবে কী না। আওয়ামী লীগ সরকার নিজেদের বৈধতার জন্য আমাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেছে। এর ভিত্তিতে কিছু আসন থেকে তাদের প্রার্থী তুলে নিয়েছে। এর মানে এই নয় যে আমাদের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি হয়েছে।
কারণ হিসেবে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ওইসব আসন থেকে তাদের প্রার্থী তুলে নিলেও তাদের দলের স্বতন্ত্রসহ অন্য দলের প্রার্থী রয়েছে। এছাড়া জাতীয় পার্টি তাদের কোনো আসন থেকে প্রার্থী তুলে নেয়নি। ফলে এ নির্বাচনকে একটি জোটগত নির্বাচন বলা যাবে না। সরকার নিরপেক্ষ প্রশাসন, অর্থ ও পেশিশক্তির প্রভাবমুক্ত নির্বাচনের করার অঙ্গীকার করেছে। সেই পরিবেশ দেশে আমরা নির্বাচনে এসেছি। এর ব্যত্যয় ঘটলে আমরা পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবো।