প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলক সমুদ্রযাত্রায় নেমেছে চীনের তৃতীয় এবং অত্যাধুনিক নতুন বিমানবাহী রণতরী ফুজিয়ান। দেশটির রাষ্ট্রীয় মিডিয়া বুধবার এ তথ্য জানিয়েছে।
দ্যা ডিপ্লোমেটের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিতর্কিত দক্ষিণ-পূর্ব ও তাইওয়ান প্রণালীর চারপাশে চীন সাগরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনীর বিরুদ্ধে নিজেদের ক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা করছে বেইজিং। ফুজিয়ান এখন পর্যন্ত চীনের সবচেয়ে বড় যুদ্ধজাহাজ।
পিপলস লিবারেশন আর্মি নেভির ঘোষণার বরাত দিয়ে চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, ফুজিয়ান ১ মে সকাল ৮টার দিকে সাংহাইয়ের জিয়াংনান শিপইয়ার্ড থেকে প্রথম পরীক্ষামূলক যাত্রার জন্য রওয়ানা হয়। সমুদ্র যাত্রাটি যানটির চলাচল দক্ষতা ও বৈদ্যুতিক শক্তি সিস্টেম পরীক্ষার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে।
সিনহুয়া সময়সূচী ও পরিকল্পিত অবস্থানের মতো বিশদ বিবরণ দেয়নি।
২০২২ সালের জুনে চালু করা ফুজিয়ান হল চীনের প্রথম বিমানবাহী রণতরী। এটি উন্নত ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ক্যাটাপল্ট এবং যুদ্ধবিমান লঞ্চ ও অবতরণের জন্য অ্যারেস্টিং ডিভাইস দিয়ে সজ্জিত।
ফুজিয়ানে শুধু একসঙ্গে একাধিক ফাইটার-বোমারু বিমান চালানোই যাবে না বরং নৌবাহিনীর অপারেটিং বিমানবাহী রণতরীর বিকল্প শর্ট টেকঅফ সিস্টেমের তুলনায় অনেক বেশি ভার বহনের সক্ষমতাও রয়েছে।
ফুজিয়ানের ধারণ ক্ষমতা রয়েছে ৮০ হাজার টনের বেশি এবং দৈর্ঘ্য প্রায় ৩১৬ মিটার। জাহাজটি কতগুলো জেট বহন করতে পারে সে সম্পর্কে এখন পর্যন্ত কোনো বিশদ বিবরণ নেই। তবে ২০২৩ সালের জুলাই মাসে জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত প্রতিরক্ষা বিবরণে বলা হয়েছে, ফুজিয়ান জে-১৫ ফাইটার ও কেজে-৬০০সহ ৬০ থেকে ৭০টি বিমান বহন করতে পারে।