জয় বাংলাদেশ : ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হলে আমেরিকার সামরিক সহায়তা পেতে কিয়েভকে অবশ্যই মস্কোর সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধে শান্তি আলোচনায় বসতে হবে। এমনটা জানিয়ে রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্পের দুই প্রধান উপদেষ্টা তার কাছে রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেইনের যুদ্ধ শেষ করার জন্য পরিকল্পনা উপস্থাপন করেছেন । এতে আরো বলা হয়েছে, ওই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে একই সময়ে মস্কোকে সতর্ক করা হবে যে শান্তি আলোচনায় অস্বীকৃতি জানালে ইউক্রেইনের প্রতি আমেরিকার যে সামরিক সমর্থন তা বাড়াবে ট্রাম্প প্রশাসন ।
মঙ্গলবার, সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের হোয়াইট হাউজের ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইজার কাউন্সিলের চিফ স্টাফ হিসেবে দায়িত্ব পালন করা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল কিথ কেলগ এমনটা জানিয়েছেন। ইউক্রেন যুদ্ধের পরিকল্পনা সাবেক প্রেসিডেন্টের কাছে উপস্থাপনের সময় কিথ কেলগের সঙ্গে ছিলেন ট্রাম্পের আরেক উপদেষ্টা ফ্রেড ফ্লিটজ।
ফ্লিটজ বলেছেন, তাদের উপস্থাপন করা পরিকল্পনায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইতিবাচক সমর্থন আছে। ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমি দাবি করছি না যে তিনি এটির সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত হয়েছেন বা এর প্রতিটি শব্দের সঙ্গে একমত হয়েছেন, তবে আমরা তার কাছ থেকে যে প্রতিক্রিয়াটি পেয়েছি তাতে আমরা খুশি হয়েছি।
এদিকে, ট্রাম্পের মুখপাত্র স্টিভেন চেউং অবশ্য বলেছেন, ট্রাম্প বা তার প্রচার ক্যাম্পেইন অনুমোদিত সদস্যদের দেয়া বিবৃতিগুলোই একমাত্র আনুষ্ঠানিক বক্তব্য হিসেবে গণ্য করা উচিত। এ বিষয়ে ক্রেমলিন বলেছে, সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ ট্রাম্প প্রশাসনের প্রস্তাবিত যে কোন শান্তি পরিকল্পনাকে যুদ্ধের বাস্তবতার প্রতিফলন করতে হবে । তবে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সম্প্রতি বেশ কয়েকবার কিছু শর্তসহ শান্তি আলোচনার কথা বলেছেন। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, ‘আমরা আলোচনার জন্য উন্মুক্ত আছি।
তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট পুতিন বারবার বলেছেন যে যুদ্ধের বাস্তব অবস্থা বিবেচনা করে রাশিয়া যেকোনো শান্তি আলোচনার জন্য উন্মুক্ত ছিল এবং আছে। ইউক্রেইনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ট্রাম্প উপদেষ্টাদের পরিকল্পনার বিষয়ে মন্তব্য করার অনুরোধের জবাব দেয়নি। শান্তি আলোচনার এ প্রস্তাবটি ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানে একটি বড় পরিবর্তন ঘটাবে এবং ইউরোপিয়ান মিত্রসহ ট্রাম্পের নিজস্ব রিপাবলিকান পার্টির বিরোধিতার মুখোমুখি হবে ।