Tuesday, November 19, 2024
Google search engine
Homeআন্তর্জাতিকবন্দর শ্রমিকদের ধর্মঘটের পক্ষে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন

বন্দর শ্রমিকদের ধর্মঘটের পক্ষে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন

জয় বাংলাদেশ : ইন্টারন্যাশনাল লংম্যান’স অ্যাসোসিয়েশন আইএলএ ইউনিয়নের ডাকা ধর্মঘটে মেইন থেকে টেক্সাসের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের অন্তত ৩৪ বন্দরকে স্থবির করে দিয়েছে। ইউনাইটেড স্টেইটস মেরিটাইম অ্যালায়ান্স, ইউএসএমএক্স’র সঙ্গে নতুন করে ছয় বছরের চুক্তির আলোচনা ফলপ্রসূ না হওয়ায় মঙ্গলবার মাঝরাত থেকে এই ধর্মঘটের ডাক দেয় ৪৫ হাজার বন্দর শ্রমিকের সঙ্গঠন আইএলএ।

পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে দুই পক্ষকেই অবিলম্বে আলোচনায় বসে চলমান সংকটের সমাধানের আহ্বান জানান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। নর্থ ক্যারোলাইনা যাওয়ার আগে মেরিল্যান্ডের বিমান ঘাঁটি জয়েন্ট বেইজ অ্যান্ড্রুজে সাংবাদিকদের প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছেন, করোনা মহামারির পর বন্দরগুলো অন্তত ৮০০ শতাংশ লাভের মুখ দেখেছে যার ওপর শ্রমিকদেরও হিস্যা আছে।

বাইডেনের মতো শ্রমিকদের পক্ষ নিয়ে কথা বলেছেন, ট্রান্সপোর্টেশন সেক্রেটারি পিট বুটিজাজ।

পিট বুটিজাজ বলেছেন, গত কয়েক বছর বন্দরগুলো যে রেকর্ড পরিমাণ আয় করেছে, শ্রমিকরা তা থেকে, তাদের ন্যায্য অংশ দাবি করছে। এবিসি নিউযকে দেয়া সাক্ষাৎকারে, সেক্রেটারি বুটিজাজ আরো বলেছেন, মনে রাখা জরুরি যে এই শ্রমিকেরাই মহামারির সময় নিজদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বন্দরগুলোকে সচল রেখেছিলেন এবং তাদের অনেকে প্রাণ হারিয়েছেন।

রপ্তানি বন্ধ থাকায় ধর্মঘটের ২৪ ঘণ্টা পার হওয়ার আগেই ইস্ট ও গালফ কোস্টের অন্তত ৩৪টি বন্দরে আটকা পড়েছে পণ্যবাহী ৩৮টি জাহাজ। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই ধর্মঘটের ফলে প্রতিদিন দেশের অর্থনীতি গড়ে পাঁচ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির সম্মুখীন হবে। এরই মধ্যে ধর্মঘটের শিকার বন্দরগুলো দিয়ে সব ধরনের পণ্য আমদানি বন্ধ রয়েছে।

নতুন চুক্তির আলোচনায় ইউএসএমএক্স শ্রমিকদের মজুরি ৫০ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব দিলেও, আইএলএ’র দাবি চুক্তির মেয়াদে প্রতি বছর ঘণ্টা প্রতি মজুরির ৫ ডলার করে বাড়াতে হবে। সেই সঙ্গে বন্দরে শ্রমিকদের চাকরির নিরাপত্তার খাতিরে যন্ত্রের ব্যবহার সীমিত করতে হবে।

এই ধর্মঘটের ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে দুশ্চিন্তা দেখা দিলেও, বাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন ভিন্ন কথা। টেম্পল ইউনিভার্সিটি ফক্স স্কুল অফ বিজনেসের স্ট্যাটিসক্সের প্রফেসর সুবোধ কুমার বলছেন, ধর্মঘটের প্রভাব এখনই বাজারে পড়বে না। তাই ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

নতুন সংবাদ

Recent Comments