জয় বাংলাদেশ : বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় আইন শৃংখলা বাহিনীর প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকার জেরে সাধারণ মানুষের মধ্যে পুলিশসহ অন্যান্য বাহিনীর ওপর অনাস্থা সৃষ্টি হয়েছে। এই ভয়ানক অনাস্থার প্রেক্ষিতে দেশে সর্বত্র আইন শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দিয়েছে সরকার।
সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের এ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়। এ সিদ্ধান্ত মঙ্গলবার থেকে কার্যকর হয়েছে। পরিস্থিতর অন্য কোনো পরিবর্তন না হলে আগামী দুই মাস (৬০ দিন) এটি বলবৎ থাকবে।
দেশে সর্বসাধারণের মধ্যে আইন শৃংখলা বাহিনীর প্রতি আস্থা ফিরিয়ে আনতে সেনাবাহিনীকে বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা প্রদানের এই পদেক্ষপকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, আমেরিকার মূল ধারার রাজনীতিক ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক স্যার ডক্টর আবু জাফর মাহমুদ । তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, সেনাবাহিনীকে বিশেষ ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়ার এ পদক্ষেপ সময়োপযোগী ও অত্যন্ত কাযর্কর ।
গত জুলাইয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলন সারাদেশে ছড়িয়ে পড়লে ফ্যাসিস্ট সরকার ছাত্রজনতাকে দমনের অংশ হিসেবে পুলিশকে গণহত্যাকারীর ভূমিকায় দাঁড় করায়। সে পরিস্থিতে গত ষোলো বছর ধরে পুলিশকে গণবিরোধী ভূমিকা পালনে বাধ্য করার অসংখ্য প্রমাণ ছড়িয়ে পড়ে। এর পর থেকে সাধারণ মানুষের সঙ্গে পুলিশের আস্থা ও সম্পর্কে দূরত্ব আরো বেড়ে যায়। গণ অভ্যুত্থানের মুখে পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যাবার পর এখনও বেশিরভাগ পুলিশ থানায় ফেরেনি। আইন শৃংখলা পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক হয়নি। এ অবস্থায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়ার মধ্য দয়ে অচীরেই আইন শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে উঠবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।