জয় বাংলাদেশ : বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী ৯০ দিনের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের বিষয়টি ভারত নিশ্চিত করবে বলে আশা করছেন বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় । একই সঙ্গে তিনি নয়াদিল্লিকে নেতৃত্বের ভূমিকা নিয়ে বাংলাদেশে সংবিধান সমুন্নত রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন। বুধবার এক সাক্ষাতকারে এমনটা জানান শেখ হাসিনার প্রধানমন্ত্রিত্বকালে তাঁর তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি উপদেষ্টার দায়িত্বে থাকা সজীব ওয়াজেদ।
সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘আমাদের সরকারের কোটার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া ও বিষয়টি আদালতের হাতে ছেড়ে না দিয়ে শুরুতেই বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলা উচিত ছিল বলে মনে করি। কোটা কমানোর জন্য আমাদের সরকার সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিল। আমি এ বিষয়ে প্রকাশ্যে একটি অবস্থান নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলাম। কিন্তু সরকার তা না করে বিষয়টি বিচার বিভাগের হাতে ছেড়ে দিয়েছিল।’
বিক্ষোভ মোকাবিলায় সরকার ভুল করেছে স্বীকার করলেও সহিংসতার পেছনে বিদেশি একটি গোয়েন্দা সংস্থার হাত ছিল বলে দাবি করেন জয়। তিনি বলেন, ‘আমার দীর্ঘ বিশ্বাস, এর সঙ্গে একটি বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থা জড়িত ছিল। এর একটা বড় কারণ, ১৫ জুলাই থেকে অনেক বিক্ষোভকারীর হাতে আগ্নেয়াস্ত্র দেখা গেছে। গত দেড় দশকে জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে আমাদের সাফল্যের কারণে বাংলাদেশে আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়াটা খুব কঠিন। দেশে যদি আগ্নেয়াস্ত্র পাচার ও সরবরাহ করার কারও সক্ষমতা থাকে, তাহলে সেটা একমাত্র বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থা।’
শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ৫ আগস্ট দেশত্যাগের আগের ২৪ ঘণ্টার ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে সজীব ওয়াজেদ বলেন, এক দিন আগেও তিনি ও তাঁর মা কেউই ভাবেননি যে পরিস্থিতি এত দ্রুত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে। তিনি বলেন, ‘তাঁর (শেখ হাসিনা) দেশ ছেড়ে যাওয়ার কোনো ইচ্ছা ছিল না। তিনি পদত্যাগ করতে চেয়েছিলেন। রাষ্ট্রপতিকে পদত্যাগপত্র দিয়ে প্রকাশ্যে সেই ঘোষণা দিতে চেয়েছিলেন। নিজের ভাষণও রেকর্ড করতে যাচ্ছিলেন। ঠিক এমন সময় নিরাপত্তা বাহিনীর লোকজন বলেন, “ম্যাম, আর সময় নেই। আমাদের যেতে হবে।”’