জয় বাংলাদেশ: শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বিগত সরকারের আমলে বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার জন্য যুক্তরাজ্য সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছেন। সোমবার বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ উপহাইকমিশনার ও উন্নয়ন পরিচালক জেমস গোল্ডম্যানের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় শিল্প মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব জাকিয়া সুলতানা, অতিরিক্ত সচিব মো. সলিম উল্লাহসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। জেমস গোল্ডম্যান বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার বিষয়ে সহযোগিতা করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
সাক্ষাতের সময় শিল্প উপদেষ্টা বলেন, ব্রিটেন দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের বিশ্বস্ত উন্নয়ন সহযোগী। ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর মধ্যে ব্রিটেন বাংলাদেশকে প্রথম স্বীকৃতি দেয়। বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক চমৎকার। একসঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে এই দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উচ্চতর পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব বলেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে ১৯৮০ সালের ১৯ জুন দ্বিপক্ষীয় পুঁজি বিনিয়োগ ও সুরক্ষা চুক্তি হয়। এই চুক্তির মাধ্যমে দুই দেশের সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ সুরক্ষা নিশ্চিত করা হয়েছে। তিনি চুক্তিটি হালনাগাদ করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন।
জ্যেষ্ঠ সচিব চামড়া, চিনি, জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াকরণ, সার, সিমেন্ট, বস্ত্র, ওষুধ, পরিবেশ ও জলবায়ু–সংশ্লিষ্ট প্রকল্প এবং অন্যান্য খাতে যুক্তরাজ্যকে আরও বিনিয়োগের জন্য অনুরোধ করেন। এসএমইর মাধ্যমে তরুণ প্রজন্ম, বিশেষ করে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনকারী ছাত্রছাত্রীদের সফল উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরি করার জন্য যুক্তরাজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় একসঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করে।
ব্রিটিশ উপহাইকমিশনার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সমর্থনের কথা ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্য একসঙ্গে কাজ করছে। ভবিষ্যতে বিশেষায়িত দল গঠনের মাধ্যমে আরও নিবিড়ভাবে কাজ করা সম্ভব।