দেখতে দেখতে চলে এলো মৃদুমন্দ শীতের দিন। বছর ঘুরে শীতকালটা আসে নানা ধরনের উৎসবের আয়োজন নিয়ে। বিভিন্ন পালা-পার্বণ, অনুষ্ঠান, মেলা ইত্যাদিতে জমজমাট হয়ে থাকে শীতের মাসগুলো। এগুলোর পাশাপাশি শীতে যেই জিনিসটা সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়, তা হল ভ্রমণ। বর্তমানে দেশ বিদেশ ভ্রমণের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে আছে। বছর-জুড়ে অনেকেই ছুটি জমিয়ে রাখেন এই মাসগুলো ভ্রমণের মাধ্যমে উপভোগ করার জন্য। আবার অনেকেই আছেন যারা কাজ কিংবা পড়াশুনার কারণে এই সময়ে বিদেশ পাড়ি দেন। ভ্রমণের কারণ যেটাই হোক, এই ব্যস্ত মাসগুলোতে ভ্রমণ পরিকল্পনার জটিলতা এড়াতে দেখে নিন আজকের ভ্রমণের টিপসগুলো।
বিদেশ যাওয়ার প্রথম ধাপেই আসে ফ্লাইট। বর্তমানে বিদেশ বলতে জনপ্রিয় গন্তব্যগুলো হল ইন্ডিয়া, নেপাল, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ এমনকি দুবাই ও। তবে অনেকেরই আবার গন্তব্য যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ইত্যাদি দেশ। আবার বিশ্বকাপ দেখতে অনেকে এবার দিশানা ঠিক করেছে সুদূর কাতারেও। তবে ফ্লাইট বুকিংটা বেশ সাবধানে করা দরকার। শুধু ফ্লাইটের তারিখই নয়, সময়টাও গুরুত্বপূর্ণ। সবাই সাধারণত চেষ্টা করে সকাল সকাল গন্তব্যে পৌঁছাতে। কারণ এক্ষেত্রে পুরো দিনটাই ঘুরাঘুরির জন্য হাতে পাওয়া যায়। তবে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প অধিকাংশই এখনো অফলাইনে কাজ করার ফলে অনলাইনে ফ্লাইট খুঁজে দেখার সুযোগ খুবই কম। অফলাইনে সময় এবং তারিখ ঠিক করলেও, বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের দামের খুঁজে বের করা দুষ্কর। তাই অনলাইনে ফ্লাইট বুকিং করাটাই এখন সবচেয়ে সুবিধাজনক বিকল্প। অনলাইনে ফ্লাইট বুক করার অন্যতম সমাধান হল গোযায়ান। শুধু গন্তব্য এবং তারিখ দিলেই পেয়ে যাবেন সব বিকল্প ফ্লাইটের বিবরণ। বাজেটের কারণে আটকে যাওয়ারও কোন প্রয়োজন নেই, এখন আছে ০% ই এম আই সুবিধাও। এই সুবিধা ব্যবহার করে এখনই ভ্রমণে যেয়ে টাকা পরিশোধ করতে পারবেন সুবিধামত সময় নিয়ে।
একটু দূরের গন্তব্যে ঘুরতে গেলে ফ্লাইটেই চলে যায় প্রায় এক দিনের সমতুল্য সময়। এর মাঝে বেশ কিছুটা সময় আবার কাটাতে হয় যাত্রাবিরতিতে। দুইবার বিমান পরিবর্তনের কারণে অনেককেই লাগেজ নিয়ে ঝামেলার সম্মুখীন হতে হয়। দূরপাল্লার ভ্রমণে লাগেজ হারানো বা ক্ষতি হওয়ার ভোগান্তির সীমা নেই। তাই সবাই এই যাত্রাগুলোতে একটু বেশি সাবধান থাকতে চান। এই সমস্যার সমাধান করতে গোযায়ান বাংলাদেশে প্রথমবারের মত আন্তর্জাতিক ব্যাগেজ সুরক্ষা নিয়ে এসেছে। লাগেজ কখন কোথায় আছে তা বাস্তব সময়ে ট্রাক করার সুবিধা দেয় গোযায়ান। তাছাড়া লাগেজ হারানো বা ক্ষতি হওয়ার ক্ষেত্রে আছে ৬৬,০০০ টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ। তাই দূরপাল্লার ভ্রমণ এখন করতে পারবেন আরও সুরক্ষিত।
ফ্লাইটের পর হোটেল ঠিক করার কাজ আসে। জনপ্রিয় ভ্রমণের গন্তব্য, যেমন- থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, নেপাল ইত্যাদি জায়গায় পাওয়া যায় বিভিন্ন ধরনের হোটেল। বাজেটের মাঝে হোটেল, বিলাসবহুল রিসোর্ট, এপার্টমেন্ট ধাঁচের থাকার ব্যবস্থা, হোমস্টে ইত্যাদি অনেক ধরনের বিকল্প পাওয়া যায় এখন। এমনকি চিরাচরিত হোটেলের বদলে এনেকেই এখন চান হোমস্টে কিংবা সার্ভিসড এপার্টমেন্টে থাকতে। তবে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প মূলত অফলাইনে পরিচালিত হওয়ায়, হাজার হাজার বিকল্পের মাঝে গুটিকয়েক মাত্র পর্যটকদের কাছে এসে পৌঁছায়। অনেকেই অনলাইনে পছন্দের হোটেল খুঁজে দেখলেও, পেমেন্ট করার সময় বিপদে পড়ে যান। কারণ বিদেশী ওয়েবসাইট গুলোতে পেমেন্ট করতে প্রয়োজন হয় বিশেষ ক্রেডিট কার্ডের, যা বাংলাদেশে একেবারেই কম প্রচলিত। তাছাড়া গন্তব্যে পৌঁছে টাকা পরিশোধ করার ক্ষেত্রেও দুই বার মুদ্রা পরিবর্তনের কারণে বেশ কিছুটা লোকসান যায়। দেশি ওয়েবসাইট থেকে প্রচলিত পেমেন্ট ব্যবস্থা ব্যবহার করেই হোটেল বুক করতে চাইলে দেখে নিতে পারেন গোযায়ান। বর্তমানে প্রায় ৭ লক্ষ হোটেলের বিশাল সমাহার আছে তাদের ওয়েবসাইটে। এখানে হোটেলের অবস্থান, সুযোগ সুবিধা, রুমের ছবি, খাবার ব্যবস্থা সবই দেখে নিতে পারবেন সার্চ করে। দেশি টাকায় পেমেন্ট করার কারণে এখানে বাড়তি খরচ হওয়ার কোন সুযোগই নেই। তাছাড়াও আছে ০% ই এম আই সুবিধাও।
ঘুরতে যাওয়ার মৌসুমে এখন ঘরে বসে থাকার কোনই কারণ নেই। বিদেশ ভ্রমণ এখন চলে এসেছে সম্পূর্ণ হাতের মুঠোয়।