জয় বাংলাদেশ : বন্যাকবলিত ফেনী জেলার ৯১ দশমিক ৯ শতাংশ মোবাইল ফোনের টাওয়ার অচল হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে, সিলেট ও মৌলভীবাজারের যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। শুক্রবার বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এ তথ্য জানিয়েছে।
কমিশন জানায়, চলমান বন্যা পরিস্থিতিতে দেশের মোট ১০ জেলার প্রায় ১১ শতাংশ মোবাইল টাওয়ার অচল হয়ে পড়েছে। জেলাগুলো হলো-ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও সিলেট।
এর মধ্যে, ফেনী জেলায় ৯১ দশমিক ৯ শতাংশ টাওয়ার অচল। অন্যান্য জেলার মধ্যে নোয়াখালী জেলার ২১ শতাংশের বেশি, খাগড়াছড়ির ১৫ শতাংশের বেশি ও কুমিল্লার প্রায় ১৪ শতাংশ টাওয়ার অচল। এর মধ্যে, সেনাবাহিনী থেকে মোবাইল অপারেটর এবং টাওয়ারকো অপারেটরদের টেকনিক্যাল লোকবল, নেটওয়ার্ক সরঞ্জাম, জেনারেটর ও জ্বালানি পরিবহনের জন্য প্রয়োজনীয় নৌযান বা স্পিডবোট সরবরাহ করা এবং সার্বিক সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে এবং এ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে সমন্বয় করা হচ্ছে।
ক্ষেত্রবিশেষে যেসব অপারেটরদের কোর সাইট পুরোপুরি পানির নিচে ডুবে গেছে, সেসব ক্ষেত্রে পানির লেভেল না নামা পর্যন্ত আপাতত নেটওয়ার্ক সচল করার কার্যক্রম তরান্বিত করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে বিটিআরসি।
অপারেটরদের যেসব সাইট বিদ্যুৎ বা জেনারেটরের মাধ্যমে সচল করা সম্ভব হচ্ছে, সেসব ক্ষেত্রে স্থানীয় জনগণের মোবাইল ফোন চার্জের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।
ফেনীর নেটওয়ার্ক পুনরুদ্ধার চালেঞ্জিং ও সময়সাপেক্ষ হয়ে পড়েছে উল্লেখ করে বিটিআরসি বলছে, সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সামগ্রিক কার্যক্রম সার্বক্ষণিক মনিটরিং, যোগাযোগ স্থাপন ও সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা হয়েছে।
সিলেট, মৌলভীবাজারের ক্ষেত্রেও বন্যা পরিস্থিতির ক্রমশ অবনতি হওয়ায় যোগাযোগ স্থাপন কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করছে বিটিআরসি।