ভারতকে ট্রানজিট দিলে কী ক্ষতি হবে সেই প্রশ্ন রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ট্রানজিট তো অলরেডি দেওয়া আছে। ত্রিপুরা থেকে বাস ঢাকা হয়ে কলকাতা যাচ্ছে। সেখানে ক্ষতিটা কী হচ্ছে? বরং আমরা রাস্তার ভাড়া পাচ্ছি। সুবিধা পাচ্ছে দেশের মানুষ। আমরা কিছু অর্থ উপার্জন করছি। আসামের রুমালীগড় হয়ে পাইপলাইনের মাধ্যমে পার্বতীপুর ডিপোতে তেল আসছে। সেটা নাটোর পর্যন্ত আনবো। ক্ষতিটা কী হয়েছে? বরং আমরা তেলটা সস্তায় কিনতে পারছি।
প্রধানমন্ত্রীর এবারের ভারত সফরে ১০টি বিষয়ে সমঝোতা হলেও সবচেয়ে বেশি আলোচনায় রেল কানেকটিভিটি। বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করে ভারতের ট্রেন দেশটির এক অংশ থেকে আরেক অংশে পণ্য বা যাত্রী পরিবহন করবে। আবার বাংলাদেশ রেলওয়ে ভারতের মাটি ব্যবহার করে নেপাল ও ভুটান যাবে, এমন একটি সমঝোতায় পৌঁছেছে দুই দেশ।
এরপর থেকে দেশে চলছে রাজনৈতিক বিতর্ক। বিএনপি এর বিরোধিতা করে বলছে, এতে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব নষ্ট হবে, দেশের নিরাপত্তা পড়বে হুমকিতে।
বাংলাদেশ কেন বিচ্ছিন্ন থাকবে এমন প্রশ্ন রেখে শেখ হাসিনা বলেন, “ভূটান থেকে মিয়ানমার হয়ে থাইল্যান্ড পর্যন্ত একটি রাস্তা যাচ্ছে। সেই রাস্তাটা যাচ্ছে বাংলাদেশকে বাইপাস করে। বিশ্বব্যাপী রোড হচ্ছে সেটা থেকে বিচ্ছিন্ন বাংলাদেশ। কেন বিচ্ছিন্ন থাকব?
“ভারত চাচ্ছিল এ রাস্তাটা ভুটান থেকে বাংলাদেশ হয়ে ভারত ও মিয়ানমার হয়ে থাইল্যান্ড যাবে। এটা হলে আন্তর্জাতিকভাবে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্যে কত সুবিধা হত। সেটাও খালেদা জিয়া নাকচ করে দিয়েছিল। আমরা চারদিকে বন্ধ হয়ে থাকব। এই হল তাদের (বিএনপির) অবস্থা।”