প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে কেন এত মানুষ বিড়ম্বনায় পড়ল, সে বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে। এ ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বুধবার (৫ জুন) ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট অধিবেশনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর বিষয়টি যদি নিয়ম মেনে করা হত, তাহলে সমস্যার সৃষ্টি হত না। এখন যে সমস্যা হয়েছে, সে বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হবে। এর জন্য যদি কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান দায়ী থাকে, তাহলে তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে।
বৈদেশিক কর্মসংস্থানে সরকারের সহযোগিতার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কিছু লোক দালালের মাধ্যমে যেতে চায়। যেতে গিয়ে সমস্যায় পড়ে যায়। এতে সমস্যা তৈরি হয়।’
মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠাতে সরকার বিশেষ ফ্লাইট চালু করেছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিশেষ ফ্লাইট, অন্যান্য ফ্লাইটের সঙ্গে সংযুক্ত করে সবাইকে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু অনেকেই বাদ পড়ে গেছে। বাদ পড়ার কারণ কী, সেটা অনুসন্ধান করা হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের দেশের একশ্রেণির লোক, যারা জনশক্তির ব্যবসা করে, তারা তড়িঘড়ি করে লোক পাঠানোর চেষ্টা করে। এদের সঙ্গে মালয়েশিয়ার কিছু লোকও সংযুক্ত আছে। যার ফলে জটিলতার সৃষ্টি হয়। প্রতিবারই যখন সরকার আলোচনা করে সমাধানে যায়, তখনই কিছু লোক ছুটে যায়, একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। যারা যায় তাদের কাজের ঠিক থাকে না, চাকরিও ঠিক থাকে না। এটা শুধু মালয়েশিয়া না, অনেক জায়গায় ঘটে।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘বারবার আমি দেশবাসীকে বলেছি, জমিজমা, ঘরবাড়ি বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা খরচ করার দরকার নেই। যদি দরকার হয় প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে পারে। প্রয়োজনবোধে বিনা জামানতে ঋণ দেওয়া হয়। সেখানে তাকে সুনির্দিষ্ট করতে হবে, সে যে যাচ্ছে, তার চাকরিটা সুনির্দিষ্ট কি-না, এটা হলে ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে পারবে।’
বুধবার জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হকের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখা হাসিনা এসব কথা বলেন। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকের শুরুতে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।