গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য শনিবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে আলোচনায় বসেছেন মধ্যস্থতাকারীরা। আলোচনায় ইসরায়েলি জিম্মিদের ফেরত দেওয়ার চুক্তি বাস্তাবায়িত হতে পারে। হামাসের প্রতিনিধি দল ছাড়াও আলোচনায় উপস্থিত হয়েছেন সিআইএ পরিচালক।
মিসরের রাষ্ট্রীয় টিভি আল-কাহেরা নিউজ চ্যানেলও কায়রোতে হামাস প্রতিনিধিদলের আগমনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
মার্কিন সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি (সিআইএ) এর পরিচালক উইলিয়ামস বার্নস ছাড়াও এই আলোচনার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেন। তিনি নেতানিয়াহুর সঙ্গে দেখা করতে চলতি সপ্তাহে ইসরায়েল সফর করেছিলেন। শুক্রবার অ্যারিজোনায় বক্তৃতায় ব্লিংকেন বলেন, ‘গাজার জনগণ ও যুদ্ধবিরতির মধ্যে থাকা একমাত্র বিষয় হলো হামাস।’
মিসরের একটি নিরাপত্তার বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, ‘আজকের ফলাফল ভিন্ন হবে। আমরা অনেক পয়েন্টে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছি। কয়েকটি পয়েন্ট বাকি আছে।’
বিবিসি জানিয়েছে, শনিবার কায়রোতে পুনরায় আলোচনা শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গাজায় যুদ্ধবিরতি ও জিম্মিদের মুক্তির চুক্তি নিশ্চিত করার প্রচেষ্টা জোরদার হয়েছে। হামাস বলেছে, তাদের প্রতিনিধি দল সর্বশেষ যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব পর্যালোচনা করার পর ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে আলোচনায় বসেছে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেছেন, হামাসের জন্য যুদ্ধবিরতি গ্রহণ করা উচিত নয়। মিসর ও কাতারের মধ্যস্থতায় এই আলোচনা হচ্ছে।
শুক্রবার রাতে প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে হামাস বলেছে, তারা অলোচনার টেবিলে চুক্তিটিকে ‘পরিপক্কতা’ দিতে চায়। আলোচনার এজেন্ডায় এমন কিছু ক্ষেত্র রয়েছে যেখানে উভয় পক্ষ এখনো দ্বিমত পোষণ করছে।
যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্থায়ী বা অস্থায়ী হবে কিনা তা নিয়েই মূল সমস্যা হচ্ছে বলে ধারণা।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বারবার জোর দিয়ে বলেছেন, চুক্তিতে গেলেও দক্ষিণ গাজার রাফা শহরে নতুন করে স্থলপথে সামরিক অভিযান চালানো হবে।
কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বারবার রাফায় অভিযানের বিষয়ে সতর্ক করে আসছে। আনুমানিক ১৪ লাখ ফিলিস্তিনি রাফায় আশ্রয় নিয়েছে। এখানে অভিযান চালানো হলে হতাহতের সংখ্যা বেড়ে যাবে বলে সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুসারে, গাজায় ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের কারণে ৩৪ হাজার ৬৫৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৭৭ হাজার ৯০৮ জন আহত হয়েছেন।