জয় বাংলাদেশ : অবৈধ অভিবাসী ও আভিবাসন প্রত্যাশীদের নিয়ে ডনাল্ড ট্রাম্পের মন্তব্য ও তার অভিবাসন নীতি যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন প্রত্যাশীদের মাঝে ভীতির সঞ্চার করেছে।
ট্রাম্প দায়িত্ব নেয়ার আগেই দেশে প্রবেশের লক্ষ্যে মেক্সিকো থেকে অভিবাসন প্রত্যাশীদের স্রোত সীমান্তের দিকে এগোচ্ছে। মেক্সিকো ছাড়াও বিভিন্ন দেশ থেকে আসা হাজার হাজার শরণার্থী রয়েছে এই দলে।
অনেকে জানান, নিজ দেশ ছেড়ে আমেরিকায় প্রবেশের উদ্দেশ্যে মেক্সিকো চলে আসায় এখন আর নিজ দেশে ফেরার কোন সুযোগ নেই তাদের কাছে। এদিকে, সীমান্তে সব ধরনের পরিস্থিতির জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্ট।
আমেরিকায় প্রবেশের উদ্দেশ্যে মেক্সিকোর টাপাচুলা শহর থেকে হাজার হাজার অভিবাসন প্রত্যাশী আমেরিকা অভিমুখে যাত্রা শুরু করেছে। এসময় ডনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্যের প্রতিবাদে স্লোগান দেন তারা।
হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্ট ডিএইচএস-এর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ট্রাম্পের জয়ের পর সীমান্তে পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক আছে। তবে সীমান্তে শরনার্থী সংকট ঘনীভূত হলে তা মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে সংশ্লিষ্ট মহলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ডিএইচএস কর্মকর্তারা।
নির্বাচনি প্রচারে ট্রাম্প বরাবরই তার সীমান্ত নীতির ওপর জোর দিয়েছেন। তার মতে দেশে নানা ধরনের অপরাধ বৃদ্ধি ও দেশের মানুষের কর্মসংস্থান কমে যাওয়ার পেছনের মূল কারণ অভিবাসন প্রত্যাশীরা। এজন্য নির্বাচনি প্রচারে সরাসরিই বেশ কয়েকবার মেক্মিকোর প্রতি তাদের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে বাধা দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
ট্রাম্প আমেরিকায় বসবাস করা কয়েক মিলিয়ন অবৈধ অভিবাসীকে তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। অভিবাসীদের স্রোত আটকাতে না পারলে মেক্সিকো থেকে পণ্য আমদানির ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকিও দিয়েছেন তিনি।
ট্রাম্পের এমন পরিকল্পনার কারণে উদ্বেগ ও অনিশ্চয়তায় ভুগছেন দেশে থাকা অভিবাসীরাও। আবার মেক্সিকো হয়ে এদেশে প্রবেশের চেষ্টায় থাকা অন্য দেশের নাগরিকেরাও নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন।
আবার মেক্সিকোর সীমান্তে সিবিপি ওয়ান প্রোগ্রামের আওতায় আমেরিকায় আইনিভাবে প্রবেশের অপেক্ষায় থাকা অনেকেও ভুগছেন অনিশ্চয়তায়। তাদের ধারণা তারা যে অ্যাপয়েন্টমেন্টের জন্য জন্য মাসের পর মাস ধরে অপেক্ষা করছেন সেটি বাতিল হযে যেতে পারে।