জয় বাংলাদেশ : নিউইয়র্ক সিটির মেয়র এরিক অ্যাডামস শহরব্যাপী ‘মানি ইন ইওর পকেটস’ মেয়রের ‘মানি ইন উদ্যোগ চালু করেছেন। এই উদ্যোগ নিউইয়র্কবাসীর ৭০টিরও বেশি শহর, স্টেট এবং ফেডারেল প্রোগ্রামের স্ক্রীন করতে বা জানতে সাহায্য করতে পারে। এটি নিউইয়র্ক শহরের জীবনকে আরও সাশ্রয়ী করে তুলতে পারে। নিউইয়র্ক সিটি পাবলিক এনগেজমেন্ট ইউনিট (পিইইউ) শহর সরকার এবং দ্য সিটি ইউনিভার্সিটি অফ নিউইয়র্কের শত শত কর্মী ও ছাত্রকে প্রশিক্ষিত করেছে। তারা সোমবার থেকে শুরু করে ২০ টিরও বেশি তুলনামূলক পিছিয়ে পড়া এলাকাগুলাে এবং নিউইয়র্ক সিটি হাউজিং অথরিটি (এনওয়াইসিএইচএ) ভবন পরিদর্শন করতে শুরু করছে। হাজার হাজার নিউইয়র্কবাসীর মধ্যে কে কোন সুবিধা পাওয়ার যোগ্য হতে পারেন তা খুঁজে বের করতে সাহায্য করার লক্ষ্যে সাপ্তাহিক ভিত্তিতে এই পরিদর্শন চাদিয়ে যাবেন তারা।
নিউইয়র্কবাসী যে প্রোগ্রামগুলোর জন্য যোগ্য হতে পারেন তা সহজেই দেখতে ও বুঝতে সাহায্য করার জন্য, মেয়র অ্যাডামস ২৬ আগস্ট সোমবার ‘মানি ইন ইউর পকেট গাইড’ প্রকাশ করেন, যা সরাসরি যোগ্যতার প্রয়োজনীয়তা এবং ৪০ টির বেশি সুবিধার প্রাসঙ্গিক অ্যাপ্লিকেশনের সাথে লিঙ্ক করে। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে অ্যাডামস প্রশাসন নিউইয়র্কবাসীর বিগ অ্যাপল কানের, ফেয়ার ফেয়ারস থেকে আনত ইনকাম ট্যাক্স ক্রেডিট (ইআইটিসি) পর্যন্ত সরকারের সকল স্তরে প্রোগ্রাম চালু, পরিচালনা ও সাহায্য করার মাধ্যমে ৩০ বিলিয়ন ডলারের বেশি সাশ্রয় করতে সাহায্য করেছে।
মেয়র অ্যাডামস বলেন, ‘আমি একজন সিংগেল মার কাছে বড় হয়েছি যাকে আমার ভাইবোন ও আমার মাথার উপরে একটি ছাদ এবং টেবিলে খাবার নিশ্চিত করার জন্য বেশ কয়েকটি কাজ করতে হয়েছিল। তাড়াহুড়ো ছিল আসল। দুর্ভাগ্যবশত, অনেক নিউইয়র্কবাসী আজও একই কাজ করছে এবং অনেক নিউইয়র্কবাসী মনে করছে যে ডেক তাদের বিরুদ্ধে স্তূপ করা হয়েছে। কিন্তু আমাদের প্রশাসন এমনটা হতে দেবে না- আমরা নিউইয়র্কবাসীর খোঁজ করছি এবং এই শহরটিকে আরও সাশ্রয়ী করার জন্য কাজ করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘নিউইয়র্কবাসীর মধ্যে কে কোন সুবিধার জন্য যোগ্য তা খুঁজে বের করতে এবং যে বিলিয়ন ডলার আমরা কঠোর পরিশ্রমী পরিবারের পকেটে রাখতে সাহায্য করেছি তা তৈরি করতে সহায়তার জন্য আছ, আমরা আমাদের “মানি ইন ইউর পকেটস” উদ্যোগ চালু করছি। আমরা এমন একটি শহর গড়ে তুলছি যা প্রতিটি কমিউনিটির কাছে সুযোগ ও সমৃদ্ধি প্রসারিত করে। কারণ নিউইয়র্কবাসী তাদের ন্যায্য অংশের প্রাপ্য এবং আমরা তাদের কাছে তা পৌঁছে দিতে যাচ্ছি।’