প্রায় পাঁচ দিন পর দেশে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে ইন্টারনেট সেবা। প্রাথামক পর্যায়ে ঢাকা ও চট্টগ্রামের বাণিজ্যিক, ব্যাংকিং এবং গণমাধ্যম কেন্দ্রীক এলাকাগুলোতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পরীক্ষামূলকভাবে সীমিত পরিসরে চালু হয়েছে। তবে ব্যবহার করা যাচ্ছে না সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম।
মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) রাতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা স্বাভাবিক হতে শুরু করে। তবে এখনও চালু হয়নি মোবাইল ফোনের ইন্টারনেট।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে মোবাইল ফোনের ইন্টারনেট বিঘ্নিত হয়। ওইদিন সন্ধ্যার পর থেকে বন্ধ হয়ে যায় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা।
সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল করে ২০১৮ সালে সরকার যে পরিপত্র জারি করেছিল, সম্প্রতি সেই পরিপত্রকে অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্ট।
এরপর কোটা সংস্কারের দাবিতে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ এর ব্যানারে আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীরা। যে আন্দোলন একপর্যায়ে সহিংসতায় রুপ নেয়। আন্দোলনকারী, সরকার সমর্থক ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্নস্থানে ঘটে প্রাণহানির ঘটনা। হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় স্থাপনায়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে থাকে গুজব। একপর্যায়ে গুজব নিয়ন্ত্রণে সরকারের নির্দেশে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে ইন্টারনেট সেবা সীমিত করে মোবাইল ফোন অপারেটর কোম্পানিগুলো। এরপর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর মহাখালীতে ডেটা সেন্টারে অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা। যার ফলে বন্ধ হয়ে যায় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা।
এরপর জানা যায়, দুর্বৃত্তদের হামলায় দেশের অন্তত ৪০টি স্থানে ডেটা সেন্টার, আইএসপি এবং অপটিক ফাইবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সংশ্লিষ্টদের নিরলস প্রচেষ্টার পর অবশেষে মঙ্গলবার রাতে থেকে ফিরতে শুরু করলো ইন্টারনেট সেবা।