হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। দেশটির সামরিক বাহিনীর সেই দুর্ঘটনার তদন্তের প্রাথমিক ফলাফল প্রকাশ্যে এনেছে।
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ইরানের সশস্ত্র বাহিনীরজেনারেল স্টাফদের প্রকাশিত একটি প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯ মে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় রাষ্ট্রপতি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আরও ছয়জন নিহত হন। সেটি সম্ভবত দুর্ঘটনা।
ইব্রাহিম রাইসিকে বৃহস্পতিবার তার নিজ শহর মাশহাদে দাফন করা হয়।
ইরানি বাহিনীর মতে, রাইসি, হোসেইন আমিরাবদুল্লাহিয়ান এবং অন্যদের বহনকারী হেলিকপ্টারটি উত্তর ইরানের শহর তাব্রিজে যাওয়ার সময় রুক্ষ ভূখণ্ডে অবতরণ করার পরে আঘাতের কারণে তাতে আগুন ধরে যায়।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, হেলিকপ্টারটির ধ্বংসাবশেষে তারা কোনোরকম ‘এন্ট্রি হোল’ খুঁজে পাননি।
হেলিকপ্টার এবং কন্ট্রোল টাওয়ারের মধ্যে ফ্লাইটের যোগাযোগ সন্দেহজনক মনে হয়নি। নির্ধারিত ফ্লাইট রুট থেকে কোনো বিচ্যুতিও লক্ষ্য করা যায়নি।
এই সপ্তাহে এক্সে (আগের টুইটার) একজন ব্যবহারকারীর একটি ভাইরাল পোস্টে দাবি করা হয়, রাইসির হেলিকপ্টারকে স্পেস ওয়েপনের অর্থাৎ মহাকাশের কোনো অস্ত্র থেকে লেজার রশ্মি থেকে গুলি ছুড়ে ভূপাতিত করা হয়। পরে সেটি মুছে ফেলা হয়। ২.৯ কোটির বেশি ভিউ পাওয়া পোস্টে দাবি করা হয়েছিল, হেলিকপ্টারে মাঝ-আকাশে আগুন ধরে তা ভেঙে পড়ছে।
এই দাবি ও ছবিটি মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়েছে। যদিও লেজার অস্ত্র দশ কিলোমিটার দূর থেকে উড়ন্ত লক্ষ্যবস্তুকে ধ্বংস করতে পারে।
ডিডাব্লিউর মতে, মহাকাশ থেকে কোনো হেলিকপ্টারকে গুলি করে নামানো অসম্ভব।