ইরানের ইস্পাহান শহরের নিকটবর্তী একটি সামরিক ঘাঁটিতে ইসরায়েল যে হামলা চালিয়েছে তাতে ‘র্যাম্পেজ’ নামক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্রটি আকাশ থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য এবং এটি স্থানীয়ভাবেই তৈরি। একটি হিব্রু মিডিয়ার বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে টাইমস অব ইসরায়েল।
র্যাম্পেজ ক্ষেপণাস্ত্রটি ছবি দেখে শনাক্ত করেছে বলে এক প্রতিবেদনে দাবি করেছে দ্য কান। হামলায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও জানা গেছে বলে দাবি করা হয়েছে।
ক্ষেপণাস্ত্রটির আকার ৪.৭ মিটার। এটি সুপারসনিক গতিতে ছুটতে পারে এমনকি আয়রন ডোমের মতো অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকেও ফাঁকি দিতে সক্ষম বলে দাবি করা হয়েছে।
তবে এই হামলা সম্পর্কে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেনি ইসরায়েল। ইরান এই হামলার ঘটনাকে ছোট করে দেখছে। পাশাপাশি দাবি করেছে, হামলায় শুধু তিনটি ছোট আকারের ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে। এতে কোনো ধরণের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়নি।
র্যাম্পেজটির ওজন আধা টনের বেশি এবং ২০১৮ সালে প্রথমবার প্রকাশ্যে আনা হয়। এটি নির্মাণ করেছে ইসরায়েলি মিলিটারি ইন্ডাস্ট্রিজ সিস্টেমস ও ইসরায়েল অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, ক্ষেপণাস্ত্রটি বাঙ্কারের মতো সুরক্ষিত এলাকায় প্রবেশ ও ধ্বংস করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।
নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নাতানজ পারমাণবিক স্থাপনার কাছে ইরানের বিমান প্রতিরক্ষায় কথিত ইসরায়েলি হামলায় উচ্চ প্রযুক্তির ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল। ক্ষেপণাস্ত্রটি তেহরানের রাডার সিস্টেমগুলো ফাঁকি দিতে সক্ষম।
নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন প্রকাশের কয়েক ঘণ্টা পরেই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দ্য কান। প্রতিবেদনে কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, এই পদক্ষেপের কারণে ইসরায়েলের ওপর আরেকটি সরাসরি আক্রমণ করার আগে ইরানকে দুইবার ভাবতে বাধ্য করবে।