জয় বাংলাদেশ: শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউট (সংশোধন) অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ‘শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউট’ থেকে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম বাদ দিয়ে শুধু ‘জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউট’ করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতি এই অধ্যাদেশ জারি করেছেন বলে গেজেটে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সভায় শেখ হাসিনার নাম বাদ দিয়ে ‘জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউট’ করার জন্য অধ্যাদেশ জারির বিষয়ে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। ওই সভায় সরকারি অর্থে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বা স্থাপনার নামকরণের ক্ষেত্রে আইনি কাঠামো প্রণয়নের জন্য একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। ওই সভা শেষে উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছিলেন, যখন জনগণের টাকা ব্যয় করে কোনো প্রকল্প নেওয়া হয় বা স্থাপনা হয়, সেটার নাম কী নীতি অনুসরণ করে হবে, সে বিষয়ে বলা থাকবে এই নীতিমালায়। যাতে এমন নাম হয়, যেটি কোনোভাবেই ‘ফ্যাসিবাদ’কে উসকে দেবে না এবং তাতে জনমতের প্রতিফলন ঘটবে।
একপর্যায়ে এটিকে আইনি কাঠামোয় আনতে হবে বলেও উল্লেখ করেন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে নাম নিয়ে একটি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়ে যায়, এটি যাতে না হয়, সে জন্য এই নীতিমালা অনুসরণ করা হবে। এদিকে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আইন (সংশোধন) অধ্যাদেশও জারি করা হয়েছে। এতে আইনের ৩৪(ক) ধারা বিলুপ্ত করা হয়েছে। এর মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং গ্যাসসম্পদ ও পেট্রোলিয়ামজাত পদার্থের ট্যারিফ বা মূল্য নির্ধারণ হবে গণশুনানির মাধ্যমে। নির্বাহী আদেশে তা করা যাবে না।