জয় বাংলাদেশ: শেয়ারবাজারে সালমান এফ রহমান এবং এস আলম পরিবারের সদস্য ও তাঁদের প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম তদন্তে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সোমবার পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) পক্ষ থেকে এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। বিএসইসির পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গত ১৪ আগস্ট প্রথম আলোতে প্রকাশিত এস আলম গ্রুপের ইসলামী ব্যাংকের ঋণ অনিয়ম নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পাশাপাশি একই দিন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের গ্রেপ্তার নিয়ে আলাদা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনে সালমান এফ রহমানের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নেওয়ার বিষয়টি তুলে ধরা হয়। এই দুই প্রতিবেদনে প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে এস আলম ও সালমান এফ রহমান পরিবার ও তাঁদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে শেয়ারবাজারে অনিয়ম তদন্তের সিদ্ধান্ত নেয় বিএসইসি।
প্রথম আলো দুই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এস আলম ও সালমান এফ রহমান শেয়ারবাজারে কোনো অনিয়ম করেছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সদস্যরা হলেন বিএসইসির পরিচালক মোহাম্মদ আবুল হাসান, অতিরিক্ত পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক অমিত কুমার সাহা ও তৌহিদুল ইসলাম সাদ্দাম।
এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম (এস আলম), তাঁর স্ত্রী, জামাতা, আত্মীয়স্বজনসহ তাঁদের নিয়ন্ত্রণাধীন প্রতিষ্ঠান শেয়ারবাজারে কোনো ধরনের অনিয়মে জড়িত কি না, তা অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এই কমিটিকে। এস আলমের পাশাপাশি এই কমিটিকে সালমান এফ রহমান, তাঁর পরিবারের অন্যান্য সদস্য ও তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন প্রতিষ্ঠানের শেয়ারবাজারের অনিয়ম তদন্তেরও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্ত কমিটি গঠন সংক্রান্ত বিএসইসির নির্দেশনায় বলা হয়, কমিটিকে ৬০ দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করে কমিশনে তাদের প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।
এ ছাড়া সম্পদ ব্যবস্থাপক কোম্পানি ইনভেস্ট এশিয়া ক্যাপিটাল অ্যান্ড অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট ও সেনটিনাল ট্রাস্টি অ্যান্ড কাস্টডিয়াল সার্ভিসেসের কার্যক্রম তদন্তে তিন সদস্যের আলাদা একটি কমিটি গঠন করেছে বিএসইসি। কমিটির সদস্যরা হলেন বিএসইসির অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ এমদাদুল হক, উপপরিচালক রফিকুন্নবী ও সহকারী পরিচালক শাকিল আহমেদ। এই কমিটিকেও ৬০ দিনের মধ্যে কমিশনে তাদের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।