জয় বাংলাদেশ : বাংলাদেশে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা ও বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমানের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎসহ বিদেশে টাকা পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একই সঙ্গে সাবেক পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন ও সাবেক সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর (শাওন) অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানেরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুদকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহর নেতৃত্বে কমিশনের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।
দুদক সূত্র জানিয়েছে, সালমান এফ রহমানের বিরুদ্ধে অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে দুর্নীতির মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ নিয়ে কয়েকটি গণমাধ্যমে প্রতিবেদন ছাপা হয়। তার ভিত্তিতেই কমিশন অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়। সালমান এফ রহমানের বিরুদ্ধে শেয়ারবাজারে জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে শেয়ারহোল্ডারদের হাজার কোটি টাকা লোপাট, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন ব্যাংক থেকে প্রায় ৩৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ করে বিদেশে পাচারের অভিযোগ রয়েছে।
সাবেক মন্ত্রী শাহাব উদ্দিনের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অনৈতিক কার্যক্রমসহ নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পেয়েছে দুদক। এর মধ্যে ৮০ থেকে ৯০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে বন কর্মকর্তাদের বদলি ও পদায়ন, বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে ১ হাজার ৫০২ কোটি টাকার ‘সুফল প্রকল্পে’ ১০ শতাংশ কমিশন নিয়ে ঠিকাদারকে কাজ দেওয়া, মোটা অঙ্কের বিনিময়ে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের জমি বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফআইডিসি) তৎকালীন চেয়ারম্যানকে জলবায়ু ট্রাস্টে দিতে বাধ্য করা, পরিবেশদূষণকারী কলকারখানায় বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ স্থাপনা (ইটিপি) পরিদর্শন না করেই সনদ দেওয়া এবং বিভিন্ন খাতে ভুয়া খরচ দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উল্লেখযোগ্য।
এ ছাড়া ভোলা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর বিরুদ্ধে ২০২১-২০২২ অর্থবছরে লালমোহন ও তজুমদ্দিন উপজেলার বিভিন্ন প্রকল্পের গম ও চাল আত্মসাৎ এবং দুর্নীতি ও অনৈতিক কার্যক্রমের মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। উল্লিখিত তিনজনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক। তবে এখনো অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা নিয়োগসহ অনুসন্ধান দল গঠন করা হয়নি।