Tuesday, November 19, 2024
Google search engine
Homeস্বদেশ সংবাদস্বজনদের প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি ব্যাখ্যা করলেন ওবায়দুল কাদের

স্বজনদের প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি ব্যাখ্যা করলেন ওবায়দুল কাদের

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনদের প্রার্থী হওয়া কিংবা সরে যাওয়ার বিষয়ে কথা বলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, স্বজন বলতে প্রধানমন্ত্রী সুনির্দিষ্টভাবে সন্তান ও স্ত্রীকে বুঝিয়েছেন। যা গতকাল (বৃহস্পতিবার) সকালে এবং রাতের সভায় তিনি (প্রধানমন্ত্রী) খোলাসা করেছেন।

আজ শুক্রবার দুপুরে রাজধানী ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের সভাপতির কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আমি যেসব বক্তব্য রেখেছি, অনেকে ভেবেছিলেন আমি নিজেই নিজের নামে বলে বেড়াচ্ছি। কিন্তু গতকাল নেত্রী নিজেই এ নিয়ে খোলাসা করে বলেছেন। স্বজন বলতে তিনি দুটো শব্দ উল্লেখ করেছেন—স্ত্রী ও সন্তান।

প্রধানমন্ত্রীর বরাত দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, সেখানে (উপজেলা নির্বাচনে) কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ ও প্রভাব বিস্তার করা যাবে না। প্রশাসনকে প্রভাবিত করা যাবে না। নির্বাচনকে প্রভাবিত করা যাবে না। সে কথা তিনি (প্রধানমন্ত্রী) পরিষ্কারভাবে বলেছেন। তার (প্রধানমন্ত্রীর) গাইডলাইন অনুযায়ী আমরা আমাদের পার্টির কার্যক্রম পরিচালনা করব এবং উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারেও আমাদের নেত্রীর গাইডলাইনস অনুযায়ী আমাদের দায়িত্ব পালন করব।

প্রধানমন্ত্রীর বলা– পরিবারের মধ্যে যেন সব কিছু কেন্দ্রীভূত না করে, এমন বক্তব্য সম্পর্কে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বজনদের সব কিছু দেওয়ার জন্য যদি সব কিছু কেন্দ্রীভূত করা হয়, তাহলে দলের দীর্ঘদিনের ত্যাগী নেতারা যাবে কোথায়? একথা আমাদের সভাপতি বলেছেন। আমাদের সবার বক্তব্য সেটাই।

উপজেলা নির্বাচনে নিজের ভাইয়ের প্রার্থী হওয়া নিয়ে তিনি বলেন, আপনারা প্রশ্ন করতে পারেন, আমার এক স্বজনও উপজেলায় প্রার্থী হয়েছেন। সেখানে প্রশ্নটা হচ্ছে, আমাদের সমর্থন আছে কিনা। আমি তার পক্ষে প্রশাসন বা নির্বাচনকে প্রভাবিত করছে কিনা সেটাই দেখার বিষয়। পার্টির কারও এর সঙ্গে কোনো সংযোগ নেই, নেতৃস্থানীয় কারও এর সঙ্গে কোনও সমর্থন নেই। আমার সমর্থনের তো প্রশ্নই উঠে না।

তিনি আরও বলেন, অনেকেই এর মধ্যে মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে শুরু করেছেন। আমাদের কয়েকজন আগেই প্রত্যাহার করেছেন। আমাদের গোলাম দস্তগীরের ছেলে প্রত্যাহার করেছেন।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, শেষ পর্যন্ত নির্বাচন থেকে সরে যাবে না সেটাও বলা যায় না। আমাদের প্রধানমন্ত্রীর যে গাইডলাইন সেটা আমি মুখে বলবো একটা, আর কাজে করবো আরেকটা এটায় আমি বিশ্বাসী নই। কোনও প্রকার স্বজনপ্রীতি আমি কোনও অবস্থাতেই প্রশ্রয় দেবো না।

বিএনপি নানা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে সরকারকে চাপে ফেলতে গিয়ে নিজেরাই চাপে আছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, যারা আমাদেরকে চাপে রাখতে চেয়েছিল, তারাই এখন চাপে আছে। কারণ, আরব বসন্তের ছোঁয়া আটলান্টিকের ওপারেও লেগেছে। ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করার জন্য মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিদের নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচন ঠেকাতে গিয়ে আন্দোলনের নামে সারা দেশে যে ভয়-ভীতি সৃষ্টি করেছিল, সে কারণেই জনগণ তাদের পাশে নেই। বিএনপি নোতারা ঝিমিয়ে পড়েছে। কর্মীরা হতাশ হয়ে পড়েছে।

খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসায় সরকার বাধা দিচ্ছে– বিএনপির এমন অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে তত্ত্বাবধায়ক। আওয়ামী লীগ করেনি। সেই মামলায় গ্রেফতার ও বন্দি হয়েছেন। আমি বলবো বিএনপি নেতাদের অবহেলার জন্য, বেগম জিয়া আদালতের হাজিরা প্রলম্বিত করা হয়েছে। এক বছরের বিচার ১০ বছরেও শেষ হয়নি। এটার জন্য বিএনপির নেতারা দায়ী। রাজপথেও তারা মুক্তির দাবিতে দেখার মতো বিক্ষোভ মিছিলও করতে ব্যর্থ হয়েছে। বরং শেখ হাসিনার উদারতার জন্য শাস্তি স্থগিত রেখে বাড়িতে থাকা ও চিকিৎসা করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এমনকি বিদেশ থেকে চিকিৎসক এনে চিকিৎসা করায় সহযোগিতা করেছে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

নতুন সংবাদ

Recent Comments