Tuesday, November 19, 2024
Google search engine
Homeস্বদেশ সংবাদঅর্থনীতি সম্পর্কে জনসাধারণের মতামত চেয়েছে শ্বেতপত্র কমিটি

অর্থনীতি সম্পর্কে জনসাধারণের মতামত চেয়েছে শ্বেতপত্র কমিটি

জয় বাংলাদেশ: দেশের বিদ্যমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতির বিষয়ে জনসাধারণের মতামত চেয়েছে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি। ই–মেইল, ফেসবুক, লিঙ্কডইন ও সরাসরি লিখিতভাবেও কমিটির কাছে মতামত দেওয়া যাবে। বৃহস্পতিবার শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।

শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি বেশ কিছু বিষয়ে মতামত ও পরামর্শ আহ্বান করেছে। বিষয়গুলো হলো, সরকারি পরিসংখ্যানের যথার্থতা ও নির্ভরযোগ্যতা; সামষ্টিক অর্থনীতির বর্তমান চ্যালেঞ্জগুলো; জিডিপির প্রবৃদ্ধির পর্যালোচনা; মূল্যস্ফীতির ধারা ও তার অভিঘাত; দারিদ্র্য, অসমতা ও বিষণ্নতা; অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণ; সরকারি ব্যয় বরাদ্দে অগ্রাধিকার মূল্যায়ন; বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্য ও ঋণ ধারণক্ষমতা, মেগা প্রকল্পগুলোর মূল্যায়ন, ব্যাংকিং খাতের প্রকৃত অবস্থা; জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের পরিস্থিতি; ব্যবসা–পরিবেশ ও বেসরকারি বিনিয়োগ; অবৈধ অর্থ ও তার পাচার; শ্রমবাজারের গতিশীলতা ও যুব কর্মসংস্থান; বৈদেশিক শ্রমবাজার ও প্রবাসী শ্রমিকদের অধিকার।

যেভাবে পাঠানো যাবে মতামত
ই-মেইলের মাধ্যমে পরামর্শ পাঠানো যাবে এই ঠিকানায়: whitepaperbd2024 @gmail.com। এ ছাড়া ফেসবুক ও লিঙ্কডইন পেজের মাধ্যমে এই কমিটির কার্যক্রম সম্বন্ধে জানা যাবে। ফেসবুকের ঠিকানা: www.facebook.com/whitepaperbd2024; লিঙ্কডইন: www.linkedin.com/company/whitepaperbd2024। এ ছাড়া পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে কমিটির কার্যালয়ে (ব্লক ৪, নিচতলা) একটি পরামর্শ বাক্স রাখা থাকবে। লিখিতভাবে এখানে পরামর্শ ও দলিলপত্রাদি জমা দেওয়া যাবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদনের মাধ্যমে গত ২৯ আগস্ট অর্থনীতিবিদ, এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশের আহ্বায়ক ও সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যকে প্রধান করে এই কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটির মূল কাজ দেশের বিদ্যমান অর্থনৈতিক অবস্থার ওপর একটি শ্বেতপত্র প্রণয়ন করা। এই কমিটিতে পরবর্তীকালে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন দেশের ১১ জন সুপরিচিত বিশেষজ্ঞ।

ইতিমধ্যে কমিটির সদস্যরা তাঁদের কার্যক্রম শুরু করেছেন। পরিকল্পনা কমিশনে অবস্থিত শ্বেতপত্র কমিটির কার্যালয়ে ২৯ আগস্ট ও ৩ সেপ্টেম্বর দুটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। কমিটি কী কী বিষয়ে কাজ করবে এবং কীভাবে তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণের মাধ্যমে অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা হবে, শেষ সভায় সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। সবার সহযোগিতায় একটি পূর্ণাঙ্গ শ্বেতপত্র প্রকাশ করা সম্ভব হবে বলে কমিটি মনে করে।

শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি ৯০ দিনের মধ্যে সুপারিশসহ প্রতিবেদনগুলো সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তর করবে বলে কথা রয়েছে।

শ্বেতপত্রে মোট ছয়টি বিষয়ে আলোকপাত করা হবে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে সরকারি আর্থিক ব্যবস্থাপনা। সেই সঙ্গে অভ্যন্তরীণ সম্পদ, সরকারি ব্যয় (সরকারি বিনিয়োগ, এডিপি, ভর্তুকি ও ঋণ), ঘাটতি বাজেট অর্থায়ন বিষয়াদি থাকবে। এ ছাড়া মূল্যস্ফীতি ও খাদ্য ব্যবস্থাপনার মধ্যে থাকবে উৎপাদন, সরকারি কেনাকাটা ও খাদ্য বিতরণ এবং বাহ্যিক ভারসাম্যের মধ্যে থাকবে রপ্তানি, আমদানি, প্রবাসী আয়, সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই), বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, বিদেশি অর্থায়নের প্রভাব ও ঋণ।

শ্বেতপত্রে সামষ্টিক অর্থনীতির পাশাপাশি খাতওয়ারি পরিস্থিতিও পর্যালোচনা করা হবে। যেমন শিক্ষা, স্বাস্থ্য, জ্বালানি, ব্যাংকিং, কর আহরণ, অর্থ পাচার, মেগা প্রকল্প, দারিদ্র্য ও বৈষম্য। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই যদি কোনো খাতের প্রতিবেদন তৈরি হয়ে যায়, তাহলে তা অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন হিসেবে প্রকাশ করা হবে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

নতুন সংবাদ

Recent Comments