তালেবান ও আফগান সরকারে সমঝোতার আলো আসছে। কম্যুনিষ্ট সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে লড়াই এর এক পর্যায়ে আমেরিকার সৃষ্টি তালেবান বাহিনী। আফগান সরকার ও আমেরিকার পৃষ্টপোষ্কতায় গড়া। দীর্ঘকালের যুদ্ধ ও পারস্পরিক অশান্তির বর্তমান পর্যায়ে একই দেশের,একই ধর্ম বিশ্বাসী এবং একই ঐতিহ্যের এই পরাক্রমশালী জাতি আবারো হতে চলেছে বিশ্ব সংবাদে শিরোনাম।
আগামী ১মে থেকে আফগানিস্তান হতে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার শুরু হচ্ছে। আগামী ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সেনা প্রত্যাহার সম্পন্ন করার কথা রয়েছে।
আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার সম্পন্ন করার জন্য প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর পেন্টাগন তোড়জোড় শুরু করেছে।এর অংশ হিসেবে তারা কাতারে দুটি বি-৫২ বোমারু বিমান পাঠিয়েছে।প্রয়োজন হলে যাতে আফগানিস্তানে বোমা হামলা চালানো যায় সেজন্য এই ব্যবস্থা।
মার্কিন বিমানবাহিনী গতকাল(সোমবার)এক বিবৃতিতে বলেছে, কাতারের আল-উদেইদ বিমান ঘাঁটিতে দুটি বি-৫২ হর্নেট স্ট্যাটোফোরট্রেস বোমারু বিমান পৌঁছেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই দুটি বোমারু বিমান কাতারে আগে থেকে মোতায়েন অন্য দুটি বোমারু বিমানের সঙ্গে মিলে কাজ করবে।আফগানিস্তানে মার্কিন এবং ন্যাটো বাহিনীর সেনাদের প্রয়োজনীয় সুরক্ষার দায়িত্ব থাকবে এইসব বোমারু বিমানের।
আফগানিস্তানের তালেবান গোষ্ঠী তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠেয় শান্তি আলোচনায় যোগ দেবে বলে জানিয়েছে পাকিস্তান।পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিশেষ প্রতিনিধি মোহাম্মাদ সাদেক খান তালেবানের সিদ্ধান্তের কথা আফগান সরকারকে জানিয়েছেন।
এদিকে আফগান সরকারের পাকিস্তান বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি মোহাম্মাদ ওমর দাউদযাই আজ (মঙ্গলবার)বলেছেন, পাক প্রতিনিধি তালেবানের সম্মতির কথা জানিয়েছেন।বৈঠকে অংশগ্রহণের পাশাপাশি তালেবান সহিংসতা হ্রাস ও যুদ্ধবিরতির বিষয়েও সম্মত হবে বলে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
এদিকে, আফগানিস্তানের জাতীয় কংগ্রেস দলের প্রধান আব্দুল লতিফ পেদরাম আজ বলেছেন, পাকিস্তানের প্রতিনিধি মোহাম্মাদ সাদেক খান তার সঙ্গে বৈঠকেও তালেবানের সঙ্গে শান্তি আলোচনা ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের উপায় নিয়ে কথা বলেছেন। এই আফগান রাজনীতিবিদ বলেন, আফগানিস্তানে ফেডারেল সরকার গঠন করতে হবে।
মোহাম্মাদ সাদেক খানের নেতৃত্বে পাকিস্তানের একটি কূটনৈতিক প্রতিনিধিদল বর্তমানে আফগানিস্তান সফর করছেন।গত ২৪ এপ্রিল তুরস্কের ইস্তাম্বুলে আফগান সরকার ও তালেবানের মধ্যে শান্তি আলোচনা হওয়ার কথা থাকলেও তালেবান নেতাদের অনাগ্রহের কারণে তা দ্বিতীয়বার পিছিয়ে যায়।
আফগানিস্তানে তালেবান গোষ্ঠী প্রবল শক্তির অধিকারি বলে জানা গেছে। আঞ্চলিক ও বিশ্ব পরিস্থিতির বিবেচনায় আফগানিদের ন্যুনতম একতার একটি মোহনাই পারে এশিয়ায় অশান্তির চোখে চোখ রেখে দাঁড়াতে। তবে তাদেরকেও বিবেচনায় রাখতে হবে বিশ্বধারার পরিবর্তিত স্রোত ধারার গতি প্রকৃতি।
বিশ্লেষদের মতে, পরিবর্তিত বিশ্ব পরিস্থিতির আলোকে পরাশক্তি আমেরিকা আফগানদেরকে নিজস্ব সরকার গঠন ও রাষ্ট্র পরিচালনায় নিজস্ব রাজনীতি পরিচালনায় নিয়ন্ত্রণ নেবার ব্যাবস্থা করে দিলো। বিশ্বশান্তির অপরিহার্য্য ধারায়